স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল পৌরসভার বেনাডোব গ্রামে শম্পা বেগম (২৬) নামে এক দুই সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শম্পা ওই গ্রামের মুসাম শেখের স্ত্রী। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ব্রহ্মনীনগর গ্রামের ফসিয়ার মোল্যার মেয়ে শম্পার সাথে ৮বছর আগে নড়াইল পৌরসভার বেনাডোব এলাকার আফসার শেখের ছেলে মুসাম শেখের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে ফাহিমার বয়স ৪বছর এবং ছোট মেয়ে মাহিয়ার বয়স দেড় বছর।
শম্পার শম্পার ভাই মনির মোলা বলেন, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে ফোন করে আমাদের জানানো হয়েছে যে শম্পা মারা গেছে। আমরা খবর শুনে গিয়ে জানতে পাই বুধবার রাত ১০টার দিকে মারা গেছে। এসময় শম্পার কান দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায় এবং গলার দাগ দেখে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দন্দ্বের কারনে শম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’
অভিযুক্ত স্বামী মুসামের চাচা মুক্তার শেখ বলেন ‘ আমার ভাইয়ের ছেলে মুসাম রূপগঞ্জ বাজারে একটি পোল্ট্রির দোকানে কাজ করে। রাতে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বসন্ত রোগে আক্রান্ত তার ছোট মেয়েকে ডাল দিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছে। এসময় রাগারাগি করে তার স্ত্রীকে মরতে বলে। এতে অনুরাগে রাতেই বাড়ির পাশের লিচু গাছের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কাজী বাবুল হোসেন বলেন,‘রাতে খবর শোনার পর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।’