স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদরের চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল যোগ না হওয়ায় এই স্কুলের ৬৮জন পরীক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা প্রাকটিকাল পরীক্ষার নম্বর পত্র যথা সময়ে তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। কোনো সমস্যা হলে এর জন্য কেন্দ্র দায়ী।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবার নিয়মিত এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল মোট ছিল ৭৭জন। এর মধ্যে নিয়মিত ৭১ এবং অনিয়মিত ছিল ৬জন। সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে,এর মধ্যে অনিয়মিত ৬জন এবং নিয়মিত ৩জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। বাকিদের ফেল দেখানো হয়েছে।
চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রুব কুমার ভদ্র বলেন, স্কুল থেকে যথা সময়ে ফলাফল তৈরি নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরে কেন্দ্র প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বরপত্র বোর্ডে পাঠাবে। কিন্তু নিয়মিত পরীক্ষার্থী যাদের সবারই আইসিটি ছিল, তাদের মধ্যে তিনজনের প্রাকটিক্যাল নম্বর বোর্ডে পাঠানো হয়েছে এবং তারা সবাই ভালো ফলাফল করেছে। বাকিদের নম্বরপত্র পাঠানো হয়নি। ফলে ফলাফলে ৬৮জন শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ফেল দেখানো হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি বলেন, আইসিটিতে সবাই পাশ করলে মাত্র ৫জন ছাড়া বাকি সবাই পাশ এবং ভালো ফলাফল করবে।
এ ব্যাপার নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কেন্দ্র সচিব মহিতোষ কুমার দে বলেন, প্রত্যেক স্কুল বিভিন্ন পরীক্ষার প্রাকটিক্যাল নম্বর তৈরি করে স্ব স্ব কেন্দ্রে পাঠায়। কেন্দ্র এই নম্বরপত্র বোর্ডে পাঠায়। আমরাও এই নম্বর বোর্ডে পাঠিয়েছি। তিন জনের নম্বর আপলোড হলেও বাকিদের হয়নি। কেন হয়নি তা আমাদের ভুলও হতে পারে। আবার সার্ভারের সমস্যাও হতে পারে। মঙ্গলবার ( ৭মে) আইসিটি পরীক্ষার ফলাফলের নম্বরপত্র নিয়ে বোর্ডে যাব। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ওই কেন্দ্রে যাই এবং যশোর বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষ কেন্দ্র সচিব এবং চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে বোর্ডে যেতে বলেছেন।