লোহাগড়ায় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য দিতে গড়িমসি

4
88

স্টাফ রিপোর্টার

বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিগত কয়েক বছর সরকারের বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে ব্যাপক অনুদান এসেছে। তার মধ্যে পিআইওর অফিসের রিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের তথ্য জানতে চাইলে বিভিন্ন তালবাহানায় তারা এড়িয়ে যান।

গ্রামকে শহরে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুত, নুতন রাস্তা-ঘাট ও সংস্কারের পাশাপাশি চরাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারকে সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছে। অপরদিকে জমি আছে ঘর নেই এমন হতদরিদ্র পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন এ সরকার।

এ জেলার লোহাগড়ায় রহস্যজনক কারণে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে উন্নয়নমুলক কাজের তথ্য বা ফিরিস্তি গোপন করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।ওই সমস্ত প্রকল্পে কি পরিমান গাফলা রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত।

জানা যায়,উপজেলার ১২ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে পিআইও এসএমএ করিমের অনৈতিক আচারণ, টিআর কাবিখা ও ৪০দিনের কর্মসৃজন টাকা অগ্রিম নেয়ার কারণে চেয়ারম্যানরা নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ বিভিন্ন দপ্তরে (২৮এপ্রিল) একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯মে) বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, ইউএনও মুকুল কুমার মৈত্র, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএমএ করিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত থেকে ঘুর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে উপজেলার যে সব পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেসব পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে কি পরিমানণ ঢেউটিন ও কত টাকার চেক দেয়া হয়েছে বা হচ্ছে তা জানতে চাইলে লোহাগড়া পিআইও করিম সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। তার এ কর্মকান্ডে উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র জানান,‘উপজেলার ৩৪টি পরিবারের মধ্যে এক বান্ডেল ঢেউটিন (৮পিস) ও তিন হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।’