স্টাফ রিপোর্টার
ঘরে স্ত্রী, সন্তান রেখে স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া করতে এসে লাশ হলেন লোহাগড়ার চরশালনগর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ (৩০)। শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নূর মোহাম্মদ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরশালনগর গ্রামের জহুর শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লোহাগড়ার চরশালনগর গ্রামের নূর মোহাম্মদ স্বামী পরিত্যক্ত শলোকাকে (২৬) নিয়ে শুক্রবার বিকেলে লোহাগড়ার স্বপ্নবিথী বিনোদন কেন্দ্রে আসেন। এক পর্যায়ে পার্কের দক্ষিণ পাশে বাথরুমে তাদের দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় কর্তৃপক্ষ। এ সময় কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে নূর মোহাম্মদ দৌঁড়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দুরে লোহাগড়া প্রেসক্লাব এলাকায় পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়ে নূর মোহাম্মদ। স্থানীয় লোকজন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বপ্নবিথীর মালিক সৈয়দ মফিজুর রহমান বলেন, তারা দু’জন (নূর মোহাম্মদ ও শলোকা) দুপুরের দিকে পার্কে প্রবেশ করে। নিয়মানুযায়ী বিকেল ৫টার পর কর্মচারীরা ‘চেকআউট’ করার সময় পার্কের ভেতরে কাউকে দেখতে না পেলেও দক্ষিণ পাশের বাথরুমে দু’জনের কথা শুনতে পায়। বাথরুমের কাছে এগিয়ে গেলে কর্মচারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ছেলেটি দ্রুত দৌঁড়ে পার্ক থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়। গুঞ্জন রয়েছে, ছেলেটিকে মারধর করা হয়েছে। এ প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মফিজুর রহমান বলেন, ছেলেটিকে পার্কের কর্মচারীরা কেন মারধর করতে যাবে ! তাছাড়া সে তো দৌঁড়ে পালিয়ে গেছে।
লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, নূর মোহাম্মদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহৃ পাওয়া যায়নি। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নূর মোহাম্মদের পরিবার বা কেউ অভিযোগ করেনি বলেও জানিয়েছেন ওসি। এদিকে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শলোকাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শলোকা লোহাগড়ার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়ার আলম ফকিরের মেয়ে।