স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে সিসি ক্যামেরা ও আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এক ব্যক্তির হারানো স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার)। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) সকাল ১০টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরে পাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেন পুলিশ সুপার নিজে। টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হারানো ওই ব্যক্তির নাম মোঃ আনোয়ার হোসেন। সে নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন মহিষখোলা গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। জানা গেছে, আনোয়ার গতকাল তার কর্মস্থল সাতক্ষীরা থেকে বাসযোগে সকাল ৯টায় নড়াইল বাসস্ট্যান্ডে এসে নামেন।
এ সময় তিনি ইজিবাইক যোগে নিজ বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান যে ব্যাগটিকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে সেই ব্যাগটি সেখানে নেই। পরে তিনি অনুমান করেন ব্যাগটি ওই ইজিবাইকে থেকে গেছে। পরে তিনি ইজিবাইকটির কোনো সন্ধান করতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন নড়াইল শহর সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত, যা নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। তারপর তিনি পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন হলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে ইজিবাইকটি শনাক্ত করা হয়, যার পেছনে মোবাইল নাম্বার ছিল এবং ওই মোবাইল নাম্বারের লোকেশন ট্রাক করে ইজিবাইকের চালককে ধরা হয়। পরে চালক ওই ব্যাগটি ফিরিয়ে দেয়। ব্যাগটি ফিরিয়ে দিলে পুলিশ সুপার প্রকৃত মালিককে ব্যাগটি ফিরিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে আনোয়ার জানান, নড়াইল জেলা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকায় এবং নড়াইলের পুলিশ সুপারের আন্তরিকতায় আমি আমার হারানো মালামাল ফিরে পেয়েছি। এ মালগুলো ফেরত না পেলে আমার ঈদের আনন্দ বিলীন হয়ে যেতো। এ কারণে তিনি পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন। এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) বলেন, আমরা নড়াইল শহরকে ইতোমধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করে ফেলেছি। এ কারণে অপরাধ দমনের পাশাপাশি মানুষের হারানো মালামালও ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।