দীর্ঘক্ষণ স্মার্ট ফোন ব্যবহারে ঘাড়ে গজাতে পারে শিং!

11
28

ডেস্ক/এসএস

মোবাইল বা ট্যাবলেটের (ট্যাব) আসক্তি যেন ছেয়ে গেছে সমগ্র বিশ্বে। এই আসক্তি কখনও কখনও মাদকাসক্তিকে ও হার মানাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে জন্ম নিচ্ছে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা। এরই মধ্যে দাবি উঠেছে যে অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে আসক্তিতে ঘাড়ে গজাতে পারে শিং।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক দাবি করেন, এসব ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে তরুণদের মাথার পেছনে, নিচের দিকে অস্বাভাবিক হাড়ের দেখা মিলছে। দেখতে ‘শিং’-এর মতো বাড়তি এই হাড়ের উপস্থিতি উদ্বেগজনক। বায়োমেকানিক্সের নতুন একটি গবেষণা অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের খুলির পিছন দিকে শিংয়ের মতো গঠন লক্ষ করা যাচ্ছে! মাথার সামনের অংশ মেরুদণ্ডের ওজনকে মেরুদণ্ড থেকে মাথার পিছনের পেশিতে নিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে ওখানকার টেন্ডন ও লিগামেন্ট সংলগ্ন হাড় বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনকে মূলত চাপের ফলে চামড়া মোটা হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । যার ফলে শিংসদৃশ বস্তু গজিয়ে উঠছে হাড়ে, ঘাড়ের ঠিক উপরে।

অস্ট্রেলীয় দুই গবেষকের মতে, হাড়ের এই ফুলে ওঠার মূল কারণ হল দেহে ভঙ্গিমার বদল, যার জন্য দায়ী আধুনিক প্রযুক্তি। তারা আরও জানিয়েছেন, স্মার্টফোন ও অন্যান্য হাতে ধরা যন্ত্র মানুষের আকৃতিকে মুচড়িয়ে বদলে ফেলছে। বাধ্য করছে সর্বক্ষণ মাথাটা ঝুঁকিয়ে রাখতে। তারা মনে করেন, এই প্রথম দৈনন্দিন জীবনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে দেহের কঙ্কালে বা দেহের আকৃতিতে কেমন পরিবর্তন হতে পারে, সেটা লক্ষ করা গেল।

তবে এই পরিবর্তনও একদিনে হয় না। গবেষকরা মনে করেন, যাদের মাথার হাড়ে এমন পরিবর্তন দেখা গিয়েছে, তারা আসলে ছোটবেলা থেকেই ফোন ঘাঁটা শুরু করে দিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী এই ‘শিং’-এর উচ্চতা প্রায় ৩ থেকে ৫ মিলিমিটার। আর এই বাড়তি অংশ এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, ঐ ব্যক্তির ঘাড় ও মাথার মধ্যেকার সম্পর্ক ঠিক নেই।