১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা

2
21

নিউজ ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এজন্য ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির ‘বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি’ বিষয়ে এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বর্ষণের পাশাপাশি উজান থেকে প্রবল স্রোত নামছে। সেজন্য দেশের অন্তত ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো- লালমনিরহাট, নিলফামারি, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সিলেটের সুনামগঞ্জ, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান এবং শেরপুর।’ তিনি বলেন, যে ১০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে সেসব জেলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিশেষ বরাদ্দ রেখেছে।

তিনি জানান, এই ১০ জেলার জন্য ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ১৭ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৫০ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট রাখা হয়েছে। ১০ জেলায় ৬২৮টি পয়েন্ট ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এর মধ্যে ২৬টি পয়েন্ট ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’। তবে সরকার ৫২১টি পয়েন্টকে ঝুঁকিমুক্ত করতে দ্রুত কাজ করছে।

তিনি জানান, মানিকগঞ্জ ও জামালপুরে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। লালমনিরহাটেও তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এসব মোকাবিলায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা মাঠ পর্যায়ে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং পরিস্থিতি তদারকি করছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অতি বন্যার আশঙ্কাজনক প্রত্যেক এলাকায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে কমিটি হয়েছে। যাতে পানিবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খাদ্য গুদামগুলোর কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল বরা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা সঙ্কট হলে ৫শ’ করে তাঁবু পাঠানো হচ্ছে। প্রত্যেক তাবুতে ২০ জন করে থাকতে পারবে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা জোর দিচ্ছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড, আবহাওয়া অফিসসহ সকল বিভাগকে সর্বশেষ তথ্য দিতে হবে। সরকারি সাহায্য যাতে স্থানীয় সরকার বিভাগ সুষ্ঠুভাবে বন্টন করে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। (সূত্রঃ বাসস)