নিউজ ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা একদিন দেশ স্বাধীন করেছিলেন তার বাস্তবায়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
স্থানীয় সময় শনিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনের কেন্দ্রস্থলের ওয়েস্ট মিনিস্টার এলাকার বিখ্যাত সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নাগরিক সভায় প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।
জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা একদা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে আমি মৃত্যুকেও ভয় পাই না। জাতির পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণে আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস অবদি কাজ করে যেতে চাই।’
উক্ত সভায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সব বয়সের প্রবাসী বাংলাদেশিরা কালো ব্যাজ ধারণ করে দলে দলে যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতে ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার তার মা-বাবা-ভাই এবং তাদের স্ত্রীসহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করেন। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার খুনিদের শাস্তি না দিয়ে জিয়াউর রহমান তখন খুনিদের পুরস্কৃত করেন। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে খুনিদের শুধু দায়মুক্তিই দেননি উপরন্তু বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন।’ অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং বিভিন্ন গণআন্দোলনে তাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে দেশে প্রবাসীদের আরও বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি দেশের ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন ছাড়াও তার দলীয় কর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে রয়েছেন।