নিউজ ডেস্ক
বিয়ের কাবিন (নিকাহনামা) থেকে কুমারী শব্দটি তুলে ‘অবিবাহিত’ যোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতদিন নিকাহনামার পাঁচ নম্বর কলামে ‘কুমারী’ শব্দ ব্যবহার হয়ে আসছিল। একই সাথে কাবিন বা নিকাহনামার চারের ‘ক’ উপধারা যুক্ত করে ছেলেদের ক্ষেত্রে বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত (ডিভোর্স) বা বিপত্নীক কিনা লিপিবদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন। আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। আইনজীবী ইশরাত হাসান সম্পূরক আবেদনের পক্ষে ছিলেন।
গত ১৬ জুলাই আদালতে উপস্থিত সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, নিকাহনামার পাঁচ নম্বর কলাম বিধির রাখার প্রয়োজন নেই। এটা ব্যক্তির গোপনীয়তার বিরোধী। কনের ব্যক্তি মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। ইসলামী শরিয়াহ এ ধরনের বিধানকে সমর্থন করে না।
২০১৪ সালে নিকাহনামার পাঁচ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাষ্ট (ব্লাস্ট)। এ রিটে নিকাহনামাতে বর-কনের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক শুনানি শেষে নিকাহনামার পাঁচ নম্বর বিধিটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে রায় দেয়া হয়েছে।