ডেস্ক/এসএস
দেশজুড়ে বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হ**ত্যাকাণ্ডের তদন্ত আরেকটি নতুন মোড় নিলো। বরগুনার যে হাসপাতালে নেওয়া হয় সেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের একটি ভিডিও সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের হাতে পৌঁছেছে। এই ভিডিও চিত্রে দেখা যায় যে রিফাত শরিফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি একাই রিফাতকে র**ক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনের ঐ সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাতকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কো***পানোর পর তার স্ত্রী মিন্নি একাই র***ক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন সময় সকাল ১০টা ২১ মিনিট। মিন্নি একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে র***ক্তাক্ত ও অ*চেতন রিফাত শরীফকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যান। সেখানে দাড়িয়ে থাকা এক যুবক দ্রুত তাদের দিকে দৌড়ে আসেন। রিফাতের অবস্থা দেখে তিনি হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে আসেন। সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত অনেকেই এগিয়ে আসেন। এরপর রিকশা থেকে নামিয়ে অ*চেতন রিফাতকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
ভিডিওটিতে আরোও দেখা যায়, র**ক্ত মাখা হাতে মিন্নি হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারো সাথে কথা বলে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এর কিছু সময় পরেই মিন্নির বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন কিশোর হাসপাতালে পৌঁছে যান। এরপর সকাল প্রায় ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে এনে রিফাতকে বহন করে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
এরপর ১০টা ৪৪ মিনিটের সময় অক্সিজেন ও দুটি স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিফাতকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের সামনে আনা হয়। এরপর তাকে অপেক্ষমান অ্যাস্বুলেন্সে তোলা হয়। অ্যাস্বুলেন্সটি ১০টা ৪৯ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রঙ্গন ত্যাগ করে বরিশাল শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের দিকে রওনা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ও বরগুনা জেলা পুলিশের একটি অর্থাৎ মোট দুইটি সিসি ক্যামেরা আছে। তবে এই ভিডিওটি ঠিক কোন ক্যামেরার ধারণ করা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে রিফাত শরীফ হ***ত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর কারামুক্ত হয়ে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসায় অবস্থান করছেন মিন্নি। মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ করায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে মিন্নির সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে মিন্নর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি তিনিই সংগ্রহ করে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে দিয়েছেন। তার মতে মিন্নি যে রিফাত শরীফতে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তা কলেজের সামনের ভিডিও এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভিডিওতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত। তিনি জানান যে তার মেয়ে রিফাত হ***ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় এবং তার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই কলেজের সামনের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি গোপন করার চেষ্টা করা হয়ছে। কিন্তু তা পারেনি। তিনি বলেন, এরকম আরো একটি ভিডিও আমার সন্ধানে আছে। আমি সেই ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।”