খুলনায় ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধ**র্ষণের অভিযোগের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ

7
12

নিউজ ডেস্ক

খুলনা জেলার জিআরপি থানার ওসি উছমান গনি এবং অপর চারজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধ**;র্ষণের অভিযোগের বিষয়টি এবার খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। গত সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নি**র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এই অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন।

এ মামলার ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে সংঘবদ্ধ ধ**র্ষণের অভিযোগ আদালতে দাখিল করেন। তার পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র জমা দেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী এ্যাডভোকেট মো: মোমিনুল ইসলাম। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “অভিযোগ দায়ের করার পর বিচারক ভিক**টিমকে ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শুনানি শেষে তিনি অভিযোগটি মামলা হিসেবে আমলে নেন এবং পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।”

এর আগে গত ২ আগস্ট যশোর থেকে কমিউটর ট্রেনে খুলনায় আসার পথে রাতে ফুলতলা রেলস্টেশনে জিআরপি পুলিশ সদস্যদের হাতে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ওই গৃহব**ধূকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতে তাকে খুলনা জিআরপি থানা হাজতে রাখা হয়। পরদিন অর্থাৎ ৩ আগস্ট ৫ বোতল ফেন**সিডিল সাথে রাখার মামলা দিয়ে তাকে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

তার ঠিক পরদিন অর্থাৎ ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানির জন্য তাকে হাজির করা হয় যেখানে ওই গৃহবধূ জিআরপি থানায় রাতভর সংঘবদ্ধ গণধ***র্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। তার দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে খুলনার জিআরপি থানার ওসি উছমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য থানার মধ্যেই তাকে পালাক্রমে ধ**র্ষণ করে। এই অভিযোগকে পরায় দেড় মাস পর আমলে নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয় আদালত।