ডেস্ক/এসএস
বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় এক মুক্তিযো’দ্ধার বাবার কবরের উপর বাড়ির টয়লেট নির্মাণ করে নি’ন্দার মুখে পরেছে তাঁর নিজ সন্তান। জানা যায় মুক্তিযো’দ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর সম্প্রতি টয়লেট নির্মাণ করেছেন তাঁর ছোট ছেলে কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুর রউফ খান।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায়। দুঃখজনক সংবাদটি জানা মাত্রই স্থানীয় মুক্তিযো’দ্ধারা কবরের প্রাচীরের ওপর টয়লেটের জন্য নির্মাণ করা দেয়াল ভে’ঙে দিয়েছেন স্থানীয়দের একজন জানান, “মুক্তিযো’দ্ধা আবদুস সাত্তার ২০১৭ সালে মারা যান। এরপর তার ১২ শতক জমি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ভাগ করে নেন।”
মৃত মুক্তিযো’দ্ধা আব্দুর সাত্তারের বড় ছেলে আসাদ খান মুনির জানান, “পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ম মাফিক ভা’গাভা’গি হলেও নিজের অংশ নিয়ে তার ছোট ভাই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ শুরু থেকেই সংক্ষু’ব্ধ ছিল। এর জেরে সম্প্রতি সে বাবার কবরের প্রাচীরের ওপর থেকে প্রাচীর তুলে টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সবাই বা’ধা দিলেও রউফ শোনেনি।”
এছাড়াও স্থানীয় মুক্তিযো’দ্ধা হযরত আলী জানান যে মুক্তিযো’দ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে এই তথ্য তার পরিবারের সদস্যরা জানালে স্থানীয় মুক্তিযো’দ্ধারা সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি কবরের ওপর তোলা টয়লেটের প্রাচীর ভে’ঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপরই স্থানীয়রা প্রাচীরটি ভে’ঙে ফেলেন।
এ বিষয়ে ঘৃ’ণ্যতম কাজটি যে করে অর্থাৎ আব্দুর সাত্তারের ছোট ছেলে, বগুড়ায় কর্মরত কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ খান জানান, জমি-জমা ভাগাভাগির সময় কবরের জায়গাটা তার ভাগে পড়ে। সমস্যা যা হয়েছিল তা স্থানীয় মুরব্বি ও মুক্তিযো’দ্ধারা রোববার সন্ধ্যায় সমাধান করে দিয়েছেন। তার বাবার কবর আগের মতোই আছে। তবে এই ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ ঘৃ’ণ্যতম এই ঘটনার তীব্র নি’ন্দা জানান।