ডেস্ক/এমএস
আজ ২৬ অক্টোবর (শনিবার) শেরে বাংলা আবুল কাশেম (একে) ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী। জাতীয় নেতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
১৮৭৩ সালের এই দিনে বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ কে ফজলুক হক। তাঁর বাবার নাম ছিল কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ এবং তাঁর ছিলেন সাইদুন্নেসা খাতুন। তাদের ঘরে একমাত্র পুত্র ছিলে ফজলুল হক। মানুষের মাঝে তিনি শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামেই বহুল পরিচিত ছিলেন।
ফজলুল হককে বাংলার বাঘ বলার পেছনে এক ইতিহাস রয়েছে। ১৯৩৭ সনে ১৫ অক্টোবর লখনৌ শহরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সম্মেলনে এই মহান নেতা বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক উর্দু ভাষায় এক অসাধারণ প্রদাহী বক্তৃতা দিয়ে লখনৌবাসীর মন জয় করে নিয়েছিলেন। হক সাহেবের প্রদাহী বক্তৃতায় আকৃষ্ট হয়ে লখনৌবাসীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে তাকে শেরে-এ-বাংলা উপাধি প্রদান করেন।
ফজলুল হক ১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র, ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।
শেরে বাংলা ১৯৫৪ সালের ১৫ মে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ লাভ করেন তিনি। ১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করে। এরপরই তিনি তার ৪৬ বছরের বৈচিত্রময় রাজনৈতিক জীবন থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এ কে ফজলুক হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাঁদের তিনজনের সমাধিস্থলই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।
দিনটি উপলক্ষে আজ শেরে বাংলার সমাধিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে এক আলোচন সভার আয়োজন করেছে বরিশাল বিভাগ সমিতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।