স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে সোহাগ কাজীর বিরু’দ্ধে সন্ত্রা’সী, জালি’য়াতি, প্রতার’ণা ও চাঁ’দাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২১ অক্টোবর আউড়িয়া ইউনিয়নের ভু’ক্তভো’গী ১৬ জন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক পুলিশ সুপারের নিকট লিখিতভাবে এ আভিযোগ দায়ের করেন। সোহাগ কাজী সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের রা’জাকার মৃত ইমদাদুল হক ওরফে হিরু কাজী ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার তালতলা এলাকার রাজা’কার মৃত ইমদাদুল হক ওরফে হিরু কাজীর ছেলে সোহাগ কাজী পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার না হয়েও নিজেকে ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে থাকেন। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে বহু সহজ সরল মানুষের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আ’ত্মসাৎ করেছে বলে এ অভিযোগে জানা যায়।
গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতি মিটার বাবদ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়েছেন। ভুত্তভোগীরা তাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বললে সে আওয়ামী লীগের ক্যা’ডার দাবী করে হাত পা ভে’ঙ্গে ফেলাসহ খুন-জ’খম করার হু’মকি দেয়। সোহাগ কাজীর নিজের কোন জমি জায়গা নেই। পিতার রেখে যাওয়া যা ছিল একাধিক বিবাহ করে সব জমি বিক্রী করে দিয়েছে। জালি’য়াতি, প্রতা’রণা, স’ন্ত্রাসী ও চাঁ’দাবাজী এখন তার আয়ের একমাত্র উৎস। অভিযোগকারিরা অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সে নিজ গ্রাম তালতলায় বাড়ি নির্মাণ করেছে।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম দীলিপ কুমার বাইন বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের নাম ভা’ঙ্গীয়ে বাইরের যদি কেউ প্রতা’রণা করে তাহলে অফিসের কি করার আছে। তবে যারা হয়’রানির শিকার হয়েছে তারা আইনের আশ্রয় নিলে সুফল পাবে। দালালের কোন স্থান নেই এই অফিসে।’
একই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভু’ক্তভোগীদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তদন্ত করে দো’ষীকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।’ এ বিষয়ে সোহাগ কাজী বলেন, ‘আমার পিতা একজন রাজা’কার ছিল একথা সত্য। এ কারণে আমি আমার পিতাকে ঘৃ’না করি। আমি যুবলীগ করি। আমার নিকট কারোর কোন দেনা-পাওনা নেই। গ্রাম্য দ্ব’ন্দ্বের কারণে আমার বিরু’দ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’