ডেস্ক রিপোর্ট
রাষ্ট্রীয় আইন অমা’ন্য করে নবম শ্রেণি শিক্ষার্থী পূর্ণিমার সাথে মোঃ সাগরের বা’ল্যবিয়ে হয়। বিয়েতে ছিলেন না কোন কাজি। ইমা’ম সাহেবের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সেই বিয়ের সাত মাসের মাথায় যৌ’তুকে জন্য জীবন দিতে হলো পূর্ণিমার। মেয়ের লা’শ কাঁধে নেয় বাবা। এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউপির শ্রীপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মোঃ পলান কাজির মেয়ে নিহ’ত পূর্ণিমা।
সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূর্ণিমাকে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এসময় চিকিৎসক পূর্ণিমাকে মৃ’ত ঘোষণা করলে তার লা’শ রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ম’রদেহটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল ম’র্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের বাবা পলান কাজি জানান, দারিদ্র্যের জন্য খুবজীপুর গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে মোঃ সাগরের সঙ্গে পূর্ণিমার বিয়ে দেন তিনি। বিয়েতে এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌ’তুক দেয়ার কথা থাকলেও আর্থিক অস’চ্ছলতার জন্য বিয়ের দিন মেয়ের শ্বশুরের হাতে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন।
তিনি বলেন, যৌ’তুকের বাকি টাকা না পেয়ে শ্বশুর বাড়ি লোক মেয়েকে নির্যা’তন করত। এক পর্যায়ে বিয়ের সাত মাস পর রোববার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন পূর্ণিমাকে জো’রপূর্বক বি’ষপান করিয়ে হ’ত্যার করে। এ ঘটনায় পূর্ণিমার শ্বশুর বাড়ির ছয়জনের নামে মামলা করেছেন নিহ’ত পূর্ণিমার বাবা। এ ঘটনার পর থেকে পূর্ণিমার স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার রাতে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ম’রদেহটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল ম’র্গে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে পূর্ণিমার বাবা পলান কাজি বাদী হয়ে ছয়জনের বিরু’দ্ধে একটি এজাহার দিয়েছেন।