স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়ায় চাঞ্চল্যকর প্রবাসী আমিরুল ইসলাম টনিক হ’ত্যা মামলার আসামী মনিরুল ইসলাম মাঈনুল মোল্যাকে সোমবার ৪ নভেম্বর রাতে গ্রেফতার করেছে যশোর পিবিআই। হ’ত্যাকান্ডে টনিকের চাচাতো ভাইসহ পাঁচজন জড়িত বলে জানা গেছে।
গত ১৮ অক্টোবর পিবিআই এর হাতে আটক সজিব খান, পুলিশ ও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি ও তার সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেন। সেই আলোকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর পিবিআই এর এসআই শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পিবিআই পুলিশ গত ৪ নভেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সোয়েব মোল্যার ছেলে মনিরুল ইসলাম ওরফে মাঈনূল মোল্যা (৩৪) কে আটক করেন।
গতকাল বিকালে আসামী মাঈনুলকে নড়াইলের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নয়ন বড়াল’র আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে টনিক হ’ত্যা ঘটনায় মাঈনুল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টার দিকে সৌদি প্রবাসী আমিরুল ইসলাম টনিক লোহাগড়া পৌর এলাকার মশাঘুনি গ্রামে তার অন্তসত্বা স্ত্রী মাছুরাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় দূ’র্বৃত্তের ধা’রালো ছ্যা’নদার কো’পে মা’থায় গু’রুতর আহ’ত হন টনিক।
ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে একই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারী তিনি মৃ’ত্যুবরণ করেন। ঘটনার সাড়ে চার বছর পর মামলাটি পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে দু’মাসের মধ্যে তিনজন আসামীকে গ্রফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন টনিকের চাচাতো ভাই ও মামলার বাদী আবু সাঈদের আপন ছোটভাই তূষার শেখ, তালবাড়িয়া গ্রামের সবুর খানের ছেলে সজিব শেখ ও কুমড়ি মধ্যপাড়ার মনিরুল ইসলাম ওরফে মাঈনূল মোল্যা।
পিবিআই যশোর এসআই শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসী আমিরুল ইসলাম টনিক ভাটায় ইট বহনীয় ট্রলি কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছেন মর্মে আসামীরা নিশ্চিত হয়ে ডা’কাতির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। টনিক তার চাচাত ভাই তুষারকে চিনতে পেরে নাম ধরে ডাক দেয়। চিনে যাওয়ায় তুষার শেখ ধারা’লো অ’স্ত্র দিয়ে টনিকের মাথায় সজোরে আঘা’ত করে পালিয়ে যায়। ধৃত আসামী মাঈনুল গত ৫ নভেম্বর বিকালে নড়াইলের বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলেও জানান তিনি।