স্টাফ রিপোর্টার
প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে জয়নাব (১৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী হ’ত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জয়নাব নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক জিয়াউর শেখের মেয়ে এবং মির্জাপুর দক্ষিণপাড়া খাদিজাতুল কোবরা মহিলা কওমি মাদরাসার ছাত্রী।
৪ নভেম্বর বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজারের পাশে মাছের ঘেরে ভাসমান অবস্থায় জয়নাবের লা’শ উদ্ধার করে পুলিশ। জয়নাবকে তার প্রেমিক মাদরাসা ছাত্র মুজিবুল ইসলাম (২৩) হ’ত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় জয়নাবের বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালের দিকে মুজিবুল ও তার সহযোগী ইমরানকে আ’সামি করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। মুজিবুল যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসাইনের ছেলে এবং যশোর শহরস্থল খুলনা বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাদরাসা ছাত্র। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রেমের টানে ৩ নভেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় জয়নাব। এ সময় মায়ের মোবাইল ফোন, ৪ হাজার টাকা ও ব্যাগভর্তি পোশাক নিয়ে বের হয় সে। জয়নাবের চাচাতো ভাই শেখ হায়াতুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ধ’র্ষণের পর জয়নাবকে শ্বা’সরো’ধে হ’ত্যা করা হয়েছে। পরে তার ম’রদেহ মাছের ঘেরে ফেলে দেয়া হয়। জয়নাবের পেটে ও মুখে সিগা’রেটের পো’ড়া দা’গ রয়েছে। এছাড়া মা’থায় আ’ঘাতের চিহৃ দেখা গেছে।
হায়াতুর আরো বলেন, জয়নাবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যাগের ভেতরে একটি মোবাইল নাম্বার পাওয়া গেছে এবং সেই নাম্বারটি ইমরান নামের একব্যক্তির বলে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জয়নাবের দুলাভাই যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়ায় মসজিদের ইমাম এবং মাদরাসার শিক্ষক। এখানেই সপরিবারে বসবাস করেন তিনি। জয়নাব দুলাভাইয়ের বাসায় যাওয়া-আসার সূত্র ধরে চাঁনপাড়ার মোশারফ হোসাইনের ছেলে মাদরাসা ছাত্র মুজিবুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় এক মাত্র আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
৩ নভেম্বর বিকেলে জয়নাব নড়াইলের মির্জাপুরের বাড়ি থেকে বের হয়। অনেক সময় পরেও বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর প্রেমিক মুজিবুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও জয়নাবের খোঁজ মেলেনি। পরেরদিন (সোমবার) রাত দেড়টার দিকে পুলিশের মাধ্যমে জয়নাবের লা’শ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা জয়নাব হত্যার দ্রুত বিচার চান। এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, জয়নাবকে শ্বা’সরো’ধে হ’ত্যা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।