স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর উপজেলার অনলাইনে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ইউনিয়ন ভিত্তিক যাচাই বাছাই এর কাজ শেষ হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর হতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। নড়াইল সদরে ১৪ টি ইউনিয়ন ও নড়াইল পৌরসভার যাচাই বাছাই বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সম্পন্ন হয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আগামী রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর অফিসে যাচাই-বাছাই করে মনোনীতদের নাম পাঠাতে হবে। মন্ত্রণালয়ের ১০ পার্সেন্ট অনুযায়ী ২৯ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়। বর্তমানে নড়াইল সদর উপজেলায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২৯১ জন।
পূর্বে নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইনে দরখাস্ত আহবান করলে ৩৬৫ জন অনলাইনের মাধ্যমে দরখাস্ত করেন। এর পর প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ ফজলুর রহমান জিন্নাহকে সভাপতি করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানকে সভাপতি করে অপর এক যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়। হাবিবুর রহমান যাচাই বাছাই এর তালিকা দাখিল করার পূর্বে তিনি ইন্তেকাল করেন। সম্প্রতি নড়াইল সদর থানার জন্য পুনঃযাচাই বাছাই কমিটিতে এমএম আবু সাঈদ রানা ও তবিবর রহমানকে দিয়ে আর একটি কমিটি করা হয়। উক্ত কমিটিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা সেলিম বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিতে সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন।
কালিয়া উপজেলায় ইতিপূর্বে ৩৯০ জনকে যাচাই বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধার নাম ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিমাণ কমিয়ে আনার কথা জানালে উক্ত কমিটির পক্ষ হতে হাইকের্টে রটি করা হয়। লোহাগড়া উপজেলার যাচাই বাছাই কমিটি প্রথমবার ৬৭০ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম মনোনোনিত করে ঘোষণা দিলে অনুরূপভাবে পরিমাণ কমিয়ে আনার কথা জানালে লোহগড়া উপজেলার যাচাই বাছাই কমিটি ১৩১ জনের নাম যাচাই বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠান কিন্তু পূর্বেও কমিটির পক্ষ হতে এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। কালিয়া ও লোহাগড়া মুক্তিযোদ্ধাদের রিট আবেদন শুনানীর অপেক্ষায় আছে।