স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) ইতিহাসখ্যাত নড়াইলের তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী । এ উপলক্ষে নড়াইলের সীমান্তবর্তী যশোরের বাঁকড়ীতে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিন ব্যাপী অমল সেন স্মরণ মেলা। দুপুরে অমল সেন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এম পি। মেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে কিংবদন্তীতুল্য এই নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কৃষক, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গ্রামীণ মেলা।
‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আবৃতি, গন সঙ্গীত, গন নাটক ও গন সংগ্রাম ভিত্তিক চলচিত্র প্রদশর্নী হবে এবং সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে লোকজ মেলা। নড়াইল যশোর ছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলাগুলি থেকে সহস্রাধিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ও কর্মী এই মেলায় যোগ দেবেন।
কমরেড অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ শে জুলাই নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া গ্রামে প্রখ্যাত রায় পরিবারে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারের সন্তান। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বৃটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ‘অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। খুলনা দৌলতপুর বিএল কলেজে গনিতশাস্ত্রে অনার্স অধ্যয়নরত অবস্থায় মার্কসবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং নড়াইলে ফিরে এসে কৃষক আব্দোলন করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
পাকিস্তান শাসনামলের ২৪ বছরের মধ্যে ১৯ বছরই তাঁকে কারান্তরালে কাটাতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ মুক্তিকামী জনতা তাঁকে যশোর কারাগার ভেঙ্গে মুক্ত করে । এরপর স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেন। ২০০৩ সালের ১৭জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে অকৃতদার এই বিপ্লবী নেতা মৃত্যুবরণ করেন।