স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে তিনটি হাসপাতালে জ্বর-সর্দি-কাশি উপস্বর্গ থাকা রোগীদের জন্য আগামী শনিবার (২২মার্চ) থেকে আদালা ওয়ার্ডে চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মসিউর রহমান। তবে বৃহস্পতিবার আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই উপস্বর্গের কতজন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তারা দিতে পারেননি। তবে শনিবার থেকে এর সঠিক হিসাবে দিতে পারবেন বলে জানান।
অপরদিকে জেলা সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, ১৯মার্চ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭২জন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১৭মার্চ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিলো ২০। জনস্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বিদেশ ফেরত কিছু ব্যক্তির তথ্য থাকলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা হাট-বাজারে এসে স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করছেন, চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন, আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতেও যাচ্ছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরও মসজিদে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হলে পুলিশ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্র থেকে জানা যায়, সদর হাসপাতালে ১০,কালিয়া ও লোহাগড়ায় ৫টি করে মোট ২০টি বেডের আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়া নার্সিংকলেজ ও টিটিসিতে প্রয়োজন মতো আইসোলেশন ইউনিট খোলা হবে।
নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা.আব্দুল মোমেন জানান, ‘জ্বর-সর্দি-কাশি উপস্বর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য শনিবার থেকে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হবে। অপরদিকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হলে পুলিশ-প্রশাসন-জনপ্রতিনিধি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। তাদের শাস্তির আওতায় আনলে দৃষ্টান্ত তৈরি হবে। হাঁচি-কাঁশি দেবার পর হাত ধোয়ার আহ্বান জানান।’