স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর বিরু*দ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান বিপুল বিশ্বাস। সোমবার (২৩ মার্চ) বিপুল বিশ্বাস বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বুধবার ২৫ মার্চ দুর্নীতি দ*মন কমিশনের (দুদক) নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি ইলিয়াছ হোসেন।
নড়াইল সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় গৃহহীনদের জন্য দূর্যোগ সহনশীল বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে পিআইসির মাধ্যমে গৃহহীন হত দরিদ্রদের সরকার নিজ খরচে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা।
এ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নে ১কোটি ১৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৮০ টাকা ব্যয়ে ৩৮ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের একটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে মূলিয়া ইউনিয়নের শালিয়ারাভিটা গ্রামে। শালিয়ারা ভিটা গ্রামের হতদরিদ্র বিধবা মিরা রানীর নামে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। এই ঘর নির্মাণে মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী ৫০হাজার টাকা উৎকোচ হিসেবে দাবী করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। হতদরিদ্র বিধবা মিরা রানী বিশ্বাস তার ভাই ও এলাকার বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে দাদনের মাধ্যমে ৪৮হাজার টাকা জোগাড় করে চেয়ারম্যানের হাত পা ধরে অনেক অনুনয় বিনয় করে ওই টাকা পরিশোধ করে।
এ ব্যাপারে সুবিধাভোগী মিরা রানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি অনুদানে নির্মিত ঘরটি প্রশস্ত ও উন্নত করার জন্য আলোচনা সাপেক্ষে চেয়ারম্যানকে ওই টাকা দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, মিরা রানীর অনুরোধে টাকা নিয়ে তার দাবী মোতাবেক ঘর প্রশস্ত ও সিডিউলের বাইরে অনেক কাজ করা হচ্ছে।
নড়াইল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম বলেন, ঘরটি প্রশস্ত ও উন্নত করার জন্য টাকা দেওয়ার কথা মিরা স্বীকার করেছেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্য সদর উপজেলার পিআইওকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।