স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৯ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তির সংখ্যা ১ হাজার ৫৪১জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫০৭জনের অবস্থান চিহিৃত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৩৪জনকে চিহিৃতের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৪১৩জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ১০৮জনকে।
১০২০ জন যারা হোম কোয়ারেন্টাইনের বাইরে রয়েছে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এদের নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া হাসপাতালে ২শ এবং বেসরকারি ২৩টি ক্লিনিকে ২৩০টি বেডের মধ্যে সরকারি ১৭জন চিকিৎসক ও ১০জন নার্সের সমন্বয়ে করোনা চিকিৎসায় ২০টি বেড প্রস্তুত এবং সদর হাসপাতালসহ জেলার চিকিৎসক-নার্সদের জন্য ৪৯০টি পিপিই-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলায় ৩৮৬.৫৪০মেঃটন খাদ্য শস্য এবং ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৪শ পরিবারের মধ্যে এ খাদ্য এবং নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য শস্য ও নগত অর্থ বিতরণ শুরু হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপকভাবে সতর্কতামূলক ও স্বাস্থ্যবিধি প্রচারণা চলছে। জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মোমেন, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সাকুর, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক মোঃ শামিমুল ইসলাম, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু প্রমুখ।