স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬৯ শতাংশই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি। জেলায় মোট ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে সদর ও লোহাগড়া সাস্থ্য কমপ্লে*ক্সের ৬জন চিকিৎসক, ১জন উপ-সহকারি চিকিৎসক ও ২ জন সাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী রয়েছে। বাকি ৪ জন সাস্থ্য বিভাগের বাইরে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের আক্রান্তের সবার ৫ দিনে করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক-কর্মচারিদের রুটিন চেকআপ করার সময় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। নড়াইলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে করোনা রিপোর্টের গুণগতমান ঠিক আছে কিনা !
জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর এলাকার সুজন নামে এক যুবকের করোনা নমুনা খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলে প্রথম ১৩এপ্রিল তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এরপর ২২ এপ্রিল যশোর প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠানো করোনা নমুনা রিপোর্টে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে*ক্সের ৩ চিকিৎসক, ১ উপ-সহকারি চিকিৎসক এবং ১ টিকাদান কর্মীর পজিটিভ আসে।
২৫ এপ্রিল লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লে*ক্সের দন্ত বিভাগের ১ ডেন্টাল টেকনোলজিষ্ট এবং ২৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের গোপনীয় সহকারি এবং লোহাগড়া উপজেলায় ২জনের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে।
সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এক চিকিৎসক ও অ*জ্ঞানের চিকিৎসকের করোনা নমুনা পজিটিভ এসেছে।
নড়াইলের সিভিল সা*র্জন ডাঃ আব্দুল মোমেনের সাথে করোনা রিপোর্টের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, প্রথমাবস্থায় ঢাকা আইইডিসিআর, পরে খুলনা মেডিকেল হাসপাতাল এবং সর্বশেষ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব থেকে করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ঢাকা আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ প্রথমাবস্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা পরীক্ষা হলে এর কোয়ালিটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। নড়াইলে কারো কারো করোনা উপসর্গ না থাকলেও পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে এখন অনেকেই কোনো উপসর্গ ছাড়াই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তারপরও নড়াইলের করোনা রিপোর্টের গুণগত মান নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, নড়াইলে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সৈয়দ সুজন ইতি মধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা মোটামুটি ভালো আছেন। তারা নিজ নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।