ডেস্ক রিপোর্ট
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে গভীর শো*ক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে ঢাকার ভু*তের গলি এলাকায় তার নিজ বাসভবনে মৃ*ত্যুবরণ করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ১৯৭০ সালে নির্বাচিত গণপরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। মরহুমা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান নড়াইলের সন্তান এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহধর্মিণী।
রবিবার (১৭ মে) বাদ জোহর ভু*তের গলি (নর্থ রোড) বড় মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাজা শেষে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী ক*বরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফ*ন করা হয়। দা*ফনের আগে মমতাজ বেগমের ক*ফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এরপর ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার প্রতি গার্ড অব আনার প্রদান করা হয়।
মমতাজ বেগম মহান ভাষা ও ৬ দফা আ*ন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ’৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্র*স্থও নির্যা*তিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠিত হলে মমতাজ বেগম সেই বোর্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক মমতাজ বেগম বিগত কয়েকদিন বিভিন্ন ধরনের শারী*রিক অ*সুস্থতায় ভু*গছিলেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মৃত্যু*কালে তিনি স্বামী, এক মেয়ে, এক ছেলে, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলসহ নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল জেলার আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডঃ উত্তম কুমার ঘোষ, দৈনিক ওশান পত্রিকার সম্পাদক অ নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও অতিরিক্ত পিপি এ্যাডঃ মোঃ আলমগীর সিদ্দিকী, নড়াইল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গুলশান আরা গভীর শো*ক ও শো*ক সন্ত*প্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মরহুমা কয়েকবার নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতিতে স্বামী একমাত্র কন্যা সন্তানের সাথে এসেছেন এবং নড়াইল বারের মিটিং এ বক্তব্য রেখেছেন।