নড়াইলে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকের বিরু*দ্ধে গণপূর্ত অফিস ভাং*চু*রের অভিযোগ

19
57
নড়াইলে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকের বিরু*দ্ধে গণপূর্ত অফিস ভাং*চু*রের অভিযোগ
নড়াইলে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকের বিরু*দ্ধে গণপূর্ত অফিস ভাং*চু*রের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল গণপূর্ত অফিসের ঠিকাদারি কাজের তালিকা ও চুক্তিপত্র দেখানোর দাবিতে অফিস কক্ষ ভাং*চু*রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনের বিরু*দ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১ জুন) রাত ১০টার দিকে গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাস নড়াইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আশরাফুজ্জামান মুকুল ও নিলয় রায় বাঁধন গণপূর্ত অফিসকক্ষ ভাং*চু*রসহ সরকারি কাজে বাঁ*ধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তি বিন*ষ্টকরণ ও প্রা*ণনা*শের হু*মকিসহ ত্রা*স সৃষ্টি করেছে।

ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা সোমবার দুপুরে প্রথমে গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহিদ পারভেজের কক্ষে প্রবেশ করে। তারা তালিকাভুক্ত ঠিকাদার না হওয়া সত্ত্বেও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সব কাজের তালিকা ও চুক্তিপত্র তাদেরকে দেখানোর জন্য উত্তে*জিত ভাবে কথা বলে।

এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই নেতা গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের কক্ষে এসে করোনাভাইরাসের সাধারণ ছুটিতে যেসব কাজের চুক্তি হয়েছে, তার ফটোকপি চায়। এছাড়া তাদের কেন দরপত্র (টেন্ডার) আহবানের বিষয়ে অবগত করা হয়নি, তা জানতে চায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে সব কাগজপত্র দেয়ার দাবি জানান তারা।

একপর্যায়ে অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসকে তারা গা*লিগা*লাজ শুরু করে। এ সময় প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধন চেয়ার তু*লে হাবিবুর রহমানের মা*থায় আঘা*ত করতে যায়।

হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, তিনি মা*থা সরিয়ে নিলে চেয়ারের আঘা*তে টেবিলের কাঁচ ভে*ঙ্গে চু*রমা*র হয়েছে। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল অফিসের টেলিফোন সেট, কলমদানি ও চেয়ার ভে*ঙ্গে ফেলেছে এবং ফাইলপত্র ছুঁ*ড়ে ফে*লে দিয়েছে। এ ঘটনায় টেবিলের কাঁচের আঘা*তে অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের একটি আঙ্গু*ল কে*টে গেছে। তিনি জানান, এসময় তিনি মা*থা সরিয়ে না নিলে তার মৃ*ত্যু হতে পারতো।

এক পর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা দাপ্তরিক নথিপত্র ছিন*তাইয়ের চেষ্টা করলে তাতে বাঁ*ধা দেন গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান। এ সময় তারা হাবিবুর রহমানের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাসায় যাওয়ার পথে হাবিবুর রহমান বিশ্বাসকে মে*রে ফেলার হুম*কি দেয় বলে জিডিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে নড়াইল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহিদ পারভেজ বলেন, অভিযুক্তদের বিরু*দ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, নড়াইল গণপূর্ত বিভাগ করোনায় অফিস বন্ধ হবার পর ৪টি কাজের গো*পন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করিয়েছে এবং এসব কাজের জন্য অফিস ২০% ঘু*ষ নিয়েছে। আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি আমাদের অসৌ*জন্যমূলক আচরণ করেন। আমরা কোনো ভাং*চু*র ও চাঁ*দা দাবি করিনি। এটা তাদের সাজানো নাটক। যদি কোনো ভাং*চু*র ও চাঁ*দা দাবি করি তাহলে সিসি টিভি দেখে প্রমাণ করা হোক। না হলে আমরা মানহা*নির মামলা করব।

এদিকে গণপূর্ত অফিস ভাং*চু*রের বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে আশরাফুজ্জামান মুকুল ও নিলয় রায় বাঁধনের বিরু*দ্ধে জিডি পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।