স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল জেলায় ধান ও চাল সংগ্রহে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কৃষকদের সাড়া মিলছে কম। বাজারে ধানের মূল্য ভালো থাকায় তারা এবার গুদামে ধান দিতে আগ্রহী কম। গত এক’মাসে নড়াইল জেলায় ৯.৮১ ভাগ ধান এবং ৫২.১৫ ভাগ চাল সংগ্রহ হয়েছে। মোট ৪১জন মিলারের মধ্যে ৭জন তাদের চুক্তিবদ্ধ চাল দিয়েছে। ১৪জন মিলার এখনও পর্যন্ত এক ছটাক চাল দেয়নি।
জানা গেছে, জেলায় এবার মোট ৮ হাজার ৮১ মেঃটন ধান এবং ৪ হাজার ৮৬ মেঃটন চাল সংগ্রহ করা হবে। এ পর্যন্ত ৭শ৯৩ মেঃটন ধান এবং ২ হাজার ১৩১ মেঃটন চাল সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। আগামি ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এ ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানকে সফল করতে জেলা প্রশাসন এবং খাদ্য বিভাগ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩জন মিলার খাদ্য গুদামে তাদের চুক্তির শতভাগ চাল পূর্ণ করায় সোমবার (৭ জুলাই) সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম চত্বরে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ৩জনকে সংবর্ধনা সরূপ ক্রেষ্ট উপহার দেন। এছাড়া নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ধান কেনার ব্যবস্থা করেছেন। এ ক্ষেত্রে যাবতীয় পরিবহন খরচ এমপি নিজে বহন করছেন। কৃষকের বাড়িতে ট্রাক নিয়ে গিয়ে ধান ক্রয় করছে খাদ্য বিভাগ।
নড়াইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ভাটিয়া এলাকার কৃষক কোহিনুর রহমান, বিন্দু রহমান ও আরতি দাস জানান, এবার ধান বাজারে মন প্রতি ৯শ৫০ থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। সরকার দাম দিচ্ছে ১ হাজার ৪০ টাকা। এর মধ্যে বহন খরচ আছে। এছাড়া ধান পরিস্কার ও নির্দিষ্ট আর্দতা ঠিক করতে গেলে লোকসান হয়ে যায়। এবার বাড়িতে এসে ধান নিয়ে গেছে বিধায় আমাদের তা পুষিয়ে গেছে।
জেলা খাদ্য নিযন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মনিরুল হাসান জানান, এবারই প্রথম মাননীয এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দেওয়া ২টি ট্রাকে কৃষকের ঘরে গিয়ে ধান ক্রয় এবং ধানের মূল্য হিসেবে চেক প্রদান করছি। ধান ও চাল সংগ্রহ সফল করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান, মাননীয় এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাদের ধান ক্রয়ে সহায়তা করছেন। এছাড়া যেসব মিলার এবং কৃষক গুদামে ধান দিয়েছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ইতমধ্যে তাদের উৎসাহ দিতে ৩জন মিলারকে আমরা সংবর্ধনা দিয়েছি। ধান-চাল সংগ্রহে সফলতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদি বলে জানান।