স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে করোনা প্রতিরো*ধে বিভিন্ন এলাকাকাকে রে’ড, ইয়োলো ও গ্রীন জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১১ জুলাই) নড়াইলের সিভিল সা*র্জন করোনায় আক্রান্তের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন এলাকাকে তিনটি জোনে বিভক্তিকরণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল পৌরসভা, সদরের আউড়িয়া ও লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নকে রে’ড জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী আক্রা’ন্তের সংখ্যা লোহাগড়া ও লক্ষ্মীপাশায়। লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের সাবেক ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৫জন করোনায় আক্রা’ন্ত। এর পরেই নড়াইল পৌরসভা। এখানে ৩২জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২জন করোনায় মা*রা গিয়েছেন। এর পর লোহাগড়া ইউনিয়নে ১ ও ৩ নং ওয়াডে ২১জন করোনায় আক্রা’ন্ত। এ কারণে ৮ জুলাই নড়াইল-২ এর এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা লোহাগড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে ৮ জুলাই থেকে আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত লোহাগড়া ও লক্ষ্মীপাশাকে আন্ডার আইসো*লেশনের আওতায় রেখে লকডাউন ঘোষণা দেন।
এদিকে সদরের শাহাবাদ, তুলারামপুর, কলোড়া, সিঙ্গাশোলপুর, বিছালী, লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া, কালিয়া উপজেলার মাউলী,কলাবাড়িয়া, বাঐসোনা, পহরডাঙ্গা, পিরোলী ও বর্ণাল-ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়নকে গ্রীন জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। এছাড়া যেসকল স্থানে পৃথকভাবে দু’এক জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে সেসকল স্থান ইয়োলো জোনের আওতায় পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ পর্যন্ত ৩শত ৭৪ জন করোনায় আক্রা’ন্তের মধ্যে সদরে ১১৫ জন, লোহাগড়ায় ২১৭জন ও কালিয়ায় ৪১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১১৮ জন এবং ৮ জনের মৃ*ত্যু হয়েছে।
সিভিল সা*র্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মোমেন জানান, জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে স্বা’স্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের কাছে তিনটি জোনে বিভক্তিকরণপূর্বক অনুমোদনের জন্য তালিকা সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি অনুমোদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হাতে নেওয়া হবে।