স্টাফ রিপোর্টার
স্বামী ও শ্বাশুড়ীর বিরু*দ্ধে নারী ও শিশু নির্যা*তন দ*মন আইনে মামলা দায়ের করে বি*পাকে পড়েছেন নড়াইলের কালিয়ার এক গৃহবধূ। মামলা তুলে নেয়ার নির্দেশ না মানায় তাকে হ*ত্যার হু*মকি দিয়েছে আ*সামীরা। ওই ঘটনায় নি*র্যাতিত গৃহবধু তানজিরা বেগম উপজেলার নড়াগাতি থানায় জিডি করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের মৃ*ত সায়েম উদ্দিন শেখের ছেলে হাফিজ শেখের সাথে বাঐসোনা গ্রামের ওমর ফারুক শেখের মেয়ে তানজিরা বেগমের বিয়ের পর থেকে স্বামী হাফিজ শেখ ও শ্বাশুড়ী রিজিয়া বেগম নানা কায়দায় নির্যা*তনের মাধ্যমে যৌ*তুক আদায় করতে থাকে। সর্ব শেষ ১ লাখ টাকা যৌ*তুক না পেয়ে গত ৩ জুন তানজিরার স্বামী ও শ্বাশুড়ী তাকে বেদ*ম পি*টিয়ে ডাইনিং রুমে তা*লাব*দ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে পরদিন ৪ জুন তানজিরার বাবা ওমর ফারুক পুলিশের সহায়তায় আহ*ত তানজিরাকে আটক অবস্থা থেকে মুক্ত করে কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই ঘটনায় ৭ জুন তানজিরা বাদি হয়ে পাষ*ন্ড স্বামী ও শ্বশুড়ী রিজিয়া বেগমের নামে নড়াগাতি থানায় নারী ও শিশু নির্যা*তন দমন আইন ২০০৩ এর ১১(ক)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসা*মীরা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার পর থেকে তানজিরাকে মামলা তুলে নেয়ার চা*প দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে তাকে হ*ত্যার হু*মকি দেয়া হয়েছে বলে ওই জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদি তানজিরা বেগম বলেছেন, আমাকে অমা*নবিক নি*র্যাতন করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেও স্বস্তিতে নেই। দুটি সন্তান নিয়ে আমি এখন আসা*মীদের হু*মকির মুখে রয়েছি। আমি ন্যায় বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।
নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেছেন, মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে। তানজিরার দায়েরকৃত শুক্রবারের জিডিটি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার উপর ন্যাস্ত করা হয়েছ। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।