নড়াইলের কালিয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে বা’ল্যবিয়ে সম্পন্নের অভিযোগ

0
51
নড়াইলের কালিয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে বা'ল্যবিয়ে সম্পন্নের অভিযোগ
বা'ল্যবিবাহ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়া ইউএনও-এর হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও পুলিশের উপস্থিতিতেই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিবাহ সম্পন্নের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের শরিফুল মোল্যার বাড়িতে তার কন্যা কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তারের বা’ল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার (৩ আগষ্ট) বিকাল ৪ টার দিকে খুলনার রূপসা থানার বামনডাঙ্গা গ্রামের মুনতাহের মোল্যার পূত্র আরিফুল ইসলাম (৩০) অর্ধশতাধিক বরযাত্রী নিয়ে বর হাজির হয় কনে সাদিয়ার বাবার বাড়িতে। কালিয়া ইউএনও বিষয়টি জানতে পেরে বিয়ে বন্ধ করতে নড়াগাতি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে ওই থানার এস আই মো.তৌফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিয়ের আসরে হাজির হলেও বা’ল্যবিয়েটি সম্পন্ন হয়।

কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শেখ শের আলী বলেন, বিয়ের আগ মুহূর্তে ইউএনও অফিস থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে খোঁজ নিয়ে বিয়ের বিষয়টি জানতে পারি এবং শুনি বিয়ে বাড়িতে পুলিশ আসলেও বা’ল্য বিয়েটি বন্ধ হয়নি বরং ধুমধামের সাথেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাদিয়ার এক সহপাঠি জানিয়েছে সে ষষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ে। কালিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা জানান, বা’ল্য বিয়ের বিষয়টি জানার পর নড়াগাতি থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি বিষয়টি ভালো বলতে পরবেন।

উপজেলার নড়াগাতি থানার এস আই মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি জন্ম নিবন্ধনে সাদিয়ার জন্ম ০৫-১২-২০০১ সালে। তাছাড়া মেয়ের তিন মাস পূর্বে খুলনায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। পরে আমরা ফিরে আসি। সোমবার শুধমাত্র তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ ব্যপারে কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধানশিক্ষক রফিকুল ইসলাম রিপন সাদিয়া তার স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানান।