স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে এক গৃহবধূকে গ*ণধ*র্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎ*সাধীন আছেন। এদিকে এ ঘটনার মূল আ*সামি রিপন মোল্যাকে (৩৫) রোববার (৯ আগস্ট) সকালে কুমড়ি গ্রাম থেকে গ্রেফ*তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রিপন কুমড়ি পশ্চিমপাড়ার সবদার মোল্যা ছেলে। এ মামলায় আরো আ*সামি করা হয়েছে-কুমড়ি গ্রামের ওহিদুল মোল্যা (২৬) ও পাশ্ববর্তী তালবাড়িয়া গ্রামের নুরনবী মোল্যাকে (২৫)। এছাড়া অ*জ্ঞা*তনামা ৪-৫ জনকে আ*সামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভূ*ক্তভো*গী গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
ভূ*ক্তভো*গীর বর্ণনাসহ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ধ*র্ষণের শি*কার ওই গৃহবধূর ব্যক্তিগত স*মস্যা মিটিয়ে দেয়ার কথা বলে স্বামীসহ গৃহবধূকে গত ৫ আগস্ট রাতে নড়াইলের কুমড়ি গ্রাম থেকে আ*সামিরা মোটরসাইকেলে বের হন। পথে স্বামীকে হা*ত-পা’ ও মু*খ বেঁ*ধে মা*রপি*ট করে বাঁশবাগানে নিয়ে ওই গৃহবধূকে গ*ণধ*র্ষণ করে আ*সামিরা। গভীর রাতে গৃহবধুকে তাদের বাড়ির পাশে ফে*লে যায় তারা। প্রতিবেশিরা উ*দ্ধার করে তাকে বাড়িতে দিয়ে যান। এ ঘটনা কাউকে জানাতে নি*ষেধ করে রিপনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। এছাড়া মামলা না করার জন্যও হুম*কি দেয় তারা।
একপর্যায়ে গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ভূ*ক্তভো*গী ওই নারীকে পরিবারের সদস্যরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, ভূ*ক্তভো*গী গৃহবধুর আলা*মত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, গ*ণধ*র্ষণ মামলার আসা*মি রিপন মোল্যাকে গ্রেফ*তারের সময় এক হাজার টাকার চারটি জা*লনোট উদ্ধা*র করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলি*শের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে।
এছাড়া রিপনের নামে মা*দক, হ*ত্যা ও ধ*র্ষণসহ বিভিন্ন অ*পরা*ধে লোহাগড়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। রিপন এলাকায় নানা স*ন্ত্রা*সী কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও গ্রেফ*তার হয়েছে রিপন। এদিকে গৃহবধূ গ*ণধ*র্ষণ মামলার অন্য আ*সামিদের গ্রেফ*তারের চেষ্টা চলছে।