নড়াইল সদর হাসপাতালে সাপের বি’ষের এ’ন্টিডোট নিয়ে বিভ্রা’ন্তি, জানালেন আরএমও

0
30
নড়াইল সদর হাসপাতালে সাপের বি'ষের এ'ন্টিডোট নিয়ে বিভ্রা'ন্তি, জানালেন আরএমও
নড়াইল সদর হাসপাতালে সাপের বি'ষের এ'ন্টিডোট নিয়ে বিভ্রা'ন্তি, জানালেন আরএমও

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে সাপের বি*ষের এ’ন্টিভে’নম সরবরাহ ও মজুদ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের পাশাপাশি বিভ্রা’ন্তির সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সাপের কাম*ড়ে গৃহবধূ রতনা বেগমের মৃ*ত্যুর পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মৃ*তের পরিবারের পৃথক বিবৃতিতে এমন বিহবলতার দেখা দিয়েছে।

প্রয়া*ত রত্নার পরিবারের সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, গত শুক্রবার (১৪ আগস্ট) নড়াইলের দারিয়াপুর গ্রামের ফরিদ সরদারের স্ত্রী রতনা রাতে বিছনায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এরপর তাকে সা’পে দং*শন করলে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হয়। রতনা বেগমের মামা এনামুল হক বলেন, হাসপাতালে সাপের বি*ষের এ’ন্টিডোট না থাকায় রতনাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতিকালে তার মৃ*ত্যু হয়। এই বক্তব্যের পরই সামাজিক মাধ্যমে হাসপাতালে এ’ন্টিভে’নম মজুদ নিয়ে সমালোচনা হতে থাকে।

পরক্ষণে দৃশ্যপট পাল্টে যায় যখন সদর হাসপাতালের আরএমও মশিউর রহমান বাবু নিশ্চিত করেন, নড়াইল ২ আসনের সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রচেষ্টায় নড়াইল সদর হাসপাতালে সরকার থেকে সরবরাহ করা কমপক্ষে ১০ জন সাপে কা*টা রো*গীর চিকিৎসার জন্য এ’ন্টিভেন*ম মজুদ আছে।

তিনি আরো জানান, গত ২ দিন আগে সদর হাসপাতালে সাপে কাম*ড়ানো রো*গী রতনা বেগম ভ্যাক’সিন এর অভাবে মা*রা যায়নি, বরং তাকে মৃ*ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সাপে কাম*ড়ানোর কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পরে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন করা হয়।

এদিকে নড়াইল স্কোয়াডের নিবেদিত কর্মী প্রতাপ দাশ আরএমও’র একটি ভিডিও বার্তা ধারণ করেন। যেখানে আরএমও জানান, নড়াইল সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত এ’ন্টিভে’নম মজুদ আছে। গত একমাসে তিন জন সাপে কাম*ড়ানো রো*গীর যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি শিশুকে সা’পে কাম*ড়ালে তাকে মৃ*ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

সাপে কাম*ড়ে রো*গীকে ওঝা বা ফকির না দেখিয়ে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য আরএমও এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেন। ক্ষ*ত স্থানে যথাযথ ভাবে বেঁ’ধে রো*গীকে বসিয়ে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি এলাকাবাসীর জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে বলেন, সাপে কাম*ড়ালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রো*গীকে হাসপাতালে না আনলে রো*গীকে বাচানো কঠিন হতে পারে। কারণ বিষা*ক্ত সাপের কাম*ড়ে রো*গীর মৃ*ত্যুশংকা দেখা দেয়।

বর্ষার মৌসুমে সাপের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এমতাবস্থায় সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করে বঙ্গবন্ধু স্কোয়াডের সদর হাসপাতাল দল। সাপে কাম*ড়ালে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি তাদের পক্ষ থেকে সহোযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়।

স্কোয়াড সদস্য প্রতাপ দাশ জানান, মাননীয় সংসদ সদস্য, মানবিক সংসদ, জনাব মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা স্বা’স্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। ডাক্তার ও নার্সরাও এই করোনাকালীন সময়ে আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলছেন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔ*ষধ মজুদ আছে এবং পর্যাপ্ত ঔ*ষধ হাসপাতাল থেকে রো*গীদের সরবরাহ করা হচ্ছে। অহেতুক কেউ গু’জব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রা’ন্তি সৃষ্টি করবেন না।