মেজর সিনহা হ*ত্যা মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় রিমা*ন্ড

3
14
মেজর (অব) সিনহা হ*ত্যা মামলায় পুলিশসহ সাত জনের ৭ দিনের রিমা*ন্ড মঞ্জুর
মেজর (অব) সিনহা

ডেস্ক রিপোর্ট

অবসরপ্রাপ্ত সে’নাকর্মকর্তা প্রয়া*ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হ*ত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখা*স্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্স*পেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষি*তসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমা*ন্ডে নেয়া হয়েছে।

রিমা*ন্ডভূক্ত অন্য আসা*মীরা হলেন, পুলিশের ৪ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেজর সিনহা হ*ত্যা মামলার ত*দন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর এএসপি খায়রুল আলম। তিনি জানান, সিনহা হ*ত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তদ*ন্তের স্বার্থে আসা*মিদের আরো জিজ্ঞাবাদ প্রয়োজন।

তিনি জানান, প্রথম দফায় সাত দিনের রিমা*ন্ড শেষে আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নিয়মানুযায়ী স্বা*স্থ্য পরীক্ষা শেষে ৩ আসা*মি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদেরসহ ৭ আসা*মিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমা*ন্ডের আবেদন করেন র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। শুনানি শেষে ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমা*ন্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হামিক (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহ। এরআগে গত ৬ আগস্ট তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের রিমা*ন্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।

আদালতের নির্দশনা মতে ওসি প্রদীপসহ ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কারা*গার থেকে র‌্যাব হেফাজতে নেন মামলার তদ*ন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। কারা*গার থেকে প্রথমে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রত্যেকের স্বা*স্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে তাদের র‌্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মামলার মূল তিন আসা*মিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় তদ*ন্ত সংস্থা র‌্যাব। রিমা*ন্ডে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহা পরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার। এদিকে এ মামলায় রিমা*ন্ডে রয়েছেন কক্সবাজারে কর্মরত এপিবিএন-১৪ এর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আবদুল্লাহর।

সূত্র জানায় এরআগে ১৪ আগস্ট রিমা*ন্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আসা*মি পুলিশের ৪ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং আটক সন্দে*হজনক আা*সামি টেকনাফের বাহারছরার মারশবনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছকে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুতপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। এই মামলায় এই পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফ*তার করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গু*লিতে নিহ*ত হন সে’নাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এদিকে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডি*শিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হ*ত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলায় ৯ জনকে আসা*মি করা হয়। সবগুলো মামলা ত*দন্তের জন্য র‌্যাব-১৫ কে দায়িত্ব দেন আদালত। (সূত্রঃ বাসস)