স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশনটি অনুমোদন না হওয়ায় জেলা প্রশাসনের অবহে*লা ও অ*সহযোগিতাকে দা*য়ি করে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ এবং নড়াইলের সাধারণ শ্রেণি-পেশার সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নড়াইল আদালত চত্বরে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মিম, সাধারন সম্পাদক রকিবুজ্জামান পলাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহম্মেদ সোহান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক এস, এম পলাশ প্রমুখ।
আইটি পার্ক স্থাপন না হওয়ার বিষয়টি নড়াইলের বঙ্গবন্ধু স্কো’য়াড নামে একটি সংগঠন, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ ও বিভিন্ন সচেতন মহল জেলা প্রশাসনের গা*ফিলতিকে দা*য়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে এ নিয়ে ব্যাপক সমা*লোচনার ঝ*ড় শুরু হয়।
মানবন্ধন চলাকালে বক্তারা আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন না হতে পারায় জেলা প্রশাসনের গা*ফিলতি ও দায়িত্বহী*নতাকে দা*য়ী করেন। তারা বলেন, জমির অভাবে মাশরাফীর স্বপ্ন পূরণ হবে না তা জনগণ মেনে নেবে না। ব*ঞ্চি*ত নড়াইলবাসী আইটি পার্কের এ সুযোগ হা*তছাড়া হতে দেবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমপি নির্বাচিত হবার ২ মাস পর নড়াইলের সীমাখালী-রঘুনাথপুর মৌজায় ৫ একর জায়গার ওপর শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১৯ সালের ১৯ মে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপারিশকৃত একটি পত্রে আইটি সেন্টার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়।
কিন্ত জেলা প্রশাসন নির্ধারিত জমির কাগজপত্র দিতে না পারায় নড়াইলে আইটি সেন্টার পাশ হয়নি। প্রথমাবস্থায় সম্প্রতি দেশের ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি সেন্টার স্থাপনে অনুমোদন দেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার পাওয়া নড়াইল জেলা এই কাতারে সামিল হতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর নড়াইলের সীমাখালী মৌজায় ৫ একর সরকারি জায়গা নির্ধারণ করে আইটি সেন্টারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় এ জায়গার ওপর মা*মলা রয়েছে। প্রথমাবস্থায় সরকারি জায়গার ওপর এটি নির্মাণের কথা বলা হলেও বর্তমানে ব্যক্তির জায়গা অধিগ্র*হণ করার কথা বলা হয়েছে। আমরা এখন সরকারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে দু’ভাবেই চেষ্টা করছি। শেখ কামাল আইটি সেন্টার স্থাপনের সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি।