স্টাফ রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) চাল, আলু, পেয়াজ, কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। একইসাথে সারাদেশে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৫ শত টাকা জ’রিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি এর সার্বিক নির্দেশনায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর পরামর্শ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাজার তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
ঢাকা মহানগরীর হা*তিরপুলবাজার, পলাশী বাজার, চকবাজার, বংশাল, শ্যামপুর ও সূত্রাপুর শান্তিনগর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন ও সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ৩৪টি দল বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তদারকিকালে চাল, আলু, পেয়াজ, কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔ*ষধ ও পণ্য, নক’ল পণ্য এবং ওজনে কারচু*পিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরো*ধী বিভিন্ন অ*পরা*ধে সারাদেশ ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৫ শত টাকা জরিমা*না আরোপ ও আদায় করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা জানান সারাদেশে চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে, তাই ন্যায্য মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান করেন।
চালের মূল্য নিয়ে কারসা*জি করলে অধিদপ্তর জিরো টলা*রেন্স দেখাবে। চালের সকল পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীকে অবশ্যই চাল ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে মর্মে জানান তিনি।