স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে সামাজিক বনায়নে উপকারীভো*গীদের অধিকার অ*স্বী*কার করে জেলা পরিষদের গাছ বিক্রির অ*পচে’ষ্টার প্রতিবা*দে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় নড়াইল-মাগুরা সড়কে নড়াইল পৌর এলাকার ঘো*ড়াখালী এলাকায় বনায়নকৃত গাছের নীচে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোড়াখালী ও রঘুনাথপুর বনায়ন সমিতির আয়োজনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন উপকারভো*গি ঘো*ড়াখালী ও রঘুনাথপুর বনায়ন সমিতির সভাপতি মোঃ সাহেব আলী বেগ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সাইফুল্লাহ, ঈ’মাম হাসান, ইউসুফ মোল্যা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নড়াইল পৌরসভার ঘো*ড়াখালী সড়কে সমিতির ২৯জন উপকারভো*গির মাধ্যমে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে বন বিভাগের সহযোগিতায় দ্বিতীয় দফায় ২ কিঃমিঃ জায়গায় ২ হাজারের বেশি গাছ লা’গানো হয়। মাসে ৩ হাজার টাকা করে পাহা’রাদারকে দিয়ে গাছগুলি রক্ষ*ণাবে*ক্ষণ করা হচ্ছে। ১২ বছর পর গাছগুলি নিজেদের দাবি কওে জেলা পরিষদ অ*বৈ’ধভাবে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু জেলা পরিষদ কোনদিন খোঁ*জও নেয়নি।
এই সড়কে প্রথম দফায় আমরা সমিতির মাধ্যমে গাছ লাগিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করি। প্রথম দফায় বিক্রি করা গাছের লভ্যাংশ অনুযায়ী সুবিধাভো*গী, বনবিভাগ, জেলা পরিষদ ও নড়াইল পৌরসভাকে অংশ মোতাবেক ভা’গ করে দেয়া হয়। কিন্তু এবার সবাইকে ব*ঞ্চিত করে জেলা পরিষদ গাছ বিক্রির তৎপ*রতা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে গাছে মা’র্কিং করে গেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনসহ উ*র্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হ*স্তক্ষেপ কামনা করছি। যদি আমাদের অধিকার থেকে ব*ঞ্চিত করে জেলা পরিষদ গাছ কা*টতে আসে, তাহলে আমরা উপকারভো*গীরা এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে রু*খে দাড়াবো।
এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস বলেন, জেলা পরিষদের সাথে ঘো*ড়াখালী ও রঘুনাথপুর বনায়ন সমিতির কোন চুক্তি নেই। নিয়মানুযায়ী গাছ বিক্রির অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দিলে আমার বিরু*দ্ধে মা’মলা হবে। তবে আইনগতভাবে যদি ওই সমিতি টাকা পায় তাহলে অবশ্যই তাদের টাকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমার আন্তরিকতার কোন ঘা*টতি নেই।