এস এম সুলতানের নৌকার নিচে আ’শ্রয় নেয়া বৃ*দ্ধা মায়ের পাশে মাশরাফী

0
49
এস এম সুলতানের নৌকার নিচে আশ্রয় নেয়া বৃ*দ্ধা মায়ের পাশে মাশরাফী
এস এম সুলতানের নৌকার নিচে আশ্রয় নেয়া বৃ*দ্ধা মায়ের পাশে মাশরাফী

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে জমি লিখে নিয়ে ৮৫ বছরের এক বৃ*দ্ধাকে বাড়ি থেকে বে*র করে দেয়ার অভিযো*গ পাওয়া গেছে তার দুই ছেলের বিরু*দ্ধে। বৃদ্ধা মা কোথাও ঠাঁই না পেয়ে চিত্রানদীর পাড়ে সংরক্ষিত শিল্পী এসএম সুলতানের নৌকার নিচে আ’শ্রয় নেন। এ খবর শুক্রবার সন্ধায় পেয়ে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মায়ারানী নামে ওই বৃ*দ্ধাকে উ*দ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভ*র্তির ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া এলাকার মৃ*ত কালিপদ কুণ্ডুর স্ত্রী মায়ারানী বড় ছেলে দেব কুণ্ডুর আশ্র’য়ে বসবাস করতেন। ছেলের কাছে থাকাকালীন বছর দেড়েক হলো মায়ারানীর ৫ শতাংশ জমি দেবকুণ্ডু লিখে নেন। জমি লিখে নেয়ার পর থেকেই দেব ও তার স্ত্রী বৃ*দ্ধা মায়ের সঙ্গে দু*র্ব্যবহার শুরু করেন।

এক পর্যায়ে বৃ*দ্ধাকে বাড়ি থেকে তা*ড়িয়ে দেন। এরপর ছোট ছেলে উত্তম কুণ্ডুর সংসারেও আ’শ্র‍য় হয়নি মায়ারানীর। সেই থেকে এর বাড়ি, ওর বাড়ি করে বৃ*দ্ধার জী*বন চললেও সর্বশেষ আর কোথাও আ’শ্রয় না পেয়ে চিত্রানদীর পাড়ে সংরক্ষিত শিল্পী এসএম সুলতানের নৌকার নিচে কয়েকদিন হলো মায়রানী আ’শ্রয় নেন।

বিস্তারিত জানা গেছে, নড়াইল শহরের কুরিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মৃ*ত কালিপদ কুন্ডুর স্ত্রী মায়া রাণী কুন্ডুর (৮৫) দুই পুত্র সন্তান দেব কুন্ডু (৫০) এবং উত্তম কুন্ডু (৪০)। উত্তম কয়েক বছর পূর্বে বি*বাহ করে অন্যত্র বসবাস করায় শহরের রূপগঞ্জ বাজারের বাঁধাঘাট এলাকার ব্যবসায়ী দেব কুমার মাকে দে*খাশো*না ক*রছিল। সম্প্রতি দেড় বছরের বেশী সময় ধরে দেব তার মায়ের সাথে দু*র্ব্যবহার শুরু করে এবং খেতে-পরতে এবং থাকতে দিতে অ*পার*গতা প্রকাশ করে মাকে বাড়ি থেকে বে*র করে দেয়। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি অমিত সাহা তাকে কয়েক মাস তার নিজের বাড়িতে রাখেন।

বৃ*দ্ধা মায়া রাণী কুন্ডু কা*ন্না জ*ড়িত কন্ঠে বলেন, দীর্ঘ দেড় বছরের বেশী ছেলে ও ছেলে বৌ তাকে খেতে প*রতে ও থা*কতে দে*য় না। তার ৫শতকের একটি জায়গা ছিল। সে জায়গা কয়েক লাখ বিক্রি করেছে সন্তান দেব কুমার। এখন তারা খুব দু*র্ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। কিছু দিন এখানে ওখানে ছিলাম। এখন আর কোথায় যাওয়ার জায়গা নেই। এ বাড়ি ও বাড়ি গেলে যা খেতে দেয় তাই খাই। সংবাদটি শুক্রবার মাশরাফীর কা’নে পৌঁছালে তার উদ্যোগে সুলতানের নৌকার নিচ থেকে মায়ারানীকে উ*দ্ধার করে সুচিকিৎ*সার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।