স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়ায় বন বিভাগের বিরু’দ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কামঠানা-কাউড়িখো’লা সড়কের ১৫০টি বিভিন্ন প্র’জা’তির সরকারী গাছ বিনা টেন্ডারে কে’টে বিক্রি করার অভিযো’গ উঠেছে। গাছগুলির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা।
এলাকাবাসির অভিযো’গে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিন কামঠানা-কাউড়িখো’লা সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় দুই পাশ দিয়ে বাবলা, রেন্ট্রি, গামারীসহ বিভিন্ন প্র’জা’তির ছোট-বড় কয়েক শতাধিক গাছ ছিল। গাছগুলি রো’পণ করেছিলো কাউড়িখো’লা-কামঠানা বনায়ন সমিতি সদস্যরা। প্রায় ৩০ বছর ধরে তাদের তত্বাবধায়নে গাছগুলো বড় হয়ে উঠে। অথচ সমিতির সদস্যদের এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রা’প্য অং’শ না দিয়ে এমনকি তাদের না জানিয়ে বিনা টেন্ডারে গাছগুলি কে’টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল শিকদার ও সমিতির সদস্য ছানোয়ার শেখ জানান, আমাদের না জানিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বন বিভাগের লোকেরা শ্রমিক দিয়ে রাস্তার দুই পাশের রোপণ করা রেন্ট্রি, বাবলা, গামারী সহ প্রায় ১৫০টি অতি মূল্যবান গাছ কে’টে নিয়ে গেছে। কে’টে নেওয়া এ সব গাছের আনুমানিক মূল্য হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
তারা আরও জানান, কা’টা গাছের বেশীর ভাগ আলা মুন্সীর মোড় এলাকায় তিন-চার জায়গায় রেখে সেখান থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। শনিবারও সেখান থেকে বিক্রিত গাছ ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে গেছে। ওই মোড়ের কয়েকজন জানান, গামারী গাছের সব ল’গগুলি বিক্রি করে ফেলেছে। সমিতির অন্য সদস্যরা অভিযো’গ করে বলেন, গাছ কা’টার ব্যাপারে কোন মিটিং বা রেজুলেশন হয়নি । এ ব্যাপারে সমিতির সভাপতি মনি মিয়া শেখের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কামঠানা-কাউড়িখো’লা সড়ক পাকাকরণের জন্য ভে’কু ম্যা’শিন দিয়ে রাস্তা খো’ড়া হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক গাছের গোড়া কা’টা ও গ’র্ত করে গো’ড়ার অংশ খু’চে নিয়ে যাওয়ার চি’হ্ন রয়েছে। কা’টা গাছের কিছু গুড়ি রাস্তার পাশে রয়েছে। অনেক গু’ড়ি পাশের কামঠানা গ্রামের আলমগীরের বাড়ীতে লু’কানো রয়েছে। আলা মুন্সীর মোড়ে তিন জায়গায় বড় গাছের গু’ড়িও রাখা আছে। উপজেলা বন বিভাগ চত্বরে ২০/২৫ টি গাছের ল’গ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে গাছ কা’টার কাজে নিয়োজিত বন বিভাগের কর্মচারী ইকবাল হোসেন জানান, রাস্তা পাকা করণের জন্য বে’ধে যাওয়া গাছগুলো কে’টে উপজেলা বন বিভাগের অফিস চত্বরে রাখা হচেছ। এ ব্যাপারে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমাদের না জানিয়ে কাজ শুরু করায় রাস্তার পাশের কিছু গাছ ভে’ঙ্গে পড়ার আশংকায় কে’টে লোহাগড়ার বন বিভাগের অফিস চত্বরে রেখে দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়। পথে বা অন্য কোথাও কেউ কোন গাছ রেখেছে কিনা বা বিক্রি করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত রোসলিনা পারভীন বলেন, গাছের ব্যাপারে কিছুই জানি না তবে শুনলাম, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো ।