স্টাফ রিপোর্টার
অবশে’ষে নড়াইলবাসীর দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হতে চলেছে। শহরতলি মালিবাগ এলাকায় ৩শ ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ একর জমির ওপর নড়াইলের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী হাতেম আলী খান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি নির্মিত হবে। ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জায়গাটি বুঝে পেয়েছে। জমি অধিগ্রহ’ণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জমির সার্ভের কাজ শে’ষ পর্যায়ে। ১মাস পর সয়েল টে’স্টের কাজ শুরু হবে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের অধীন ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে নড়াইলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণের জন্য একনেকে ৩শ ৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসন শহর সংলগ্ন মালিবাগ এলাকায় সীমাখালী ও বোড়া বাদুড়িয়া মৌজায় কলেজটির জন্য ৮একর জমি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় জমির মালিকরা এখানে কলেজ নির্মাণের বিরো’ধিতা শুরু করলে কাজটি পি’ছিয়ে যায়।
নড়াইল নাগরিক উন্নয়ন কমিটির নেতা, প্রাক্তন এমপি এ্যাডভোকেট সাঈফ হাফিজুর রহমান খোকন বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা নড়াইলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মে’ডিকেল কলেজ। নড়াইলের কৃতি সন্তানের নামের নামে এই প্রকৌশল কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলে কিছুটা হলেও জেলাবাসীর দা’বি পূরণ হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, জমি অধিগ্রহনের জন্য ৪কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। জমির মালিকদের জমির ক্ষ’তিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়নি। ক্ষ’তিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে কলেজের কাজ শুরু হতে কোনো বাঁ’ধা নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজের ক্ষেত্রে যে কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হবে।
নড়াইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল হক জানান, ৬ আগস্ট জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মালিবাগ এলাকায় ৮একর জমির কাগজপত্র ও জমি হ’স্তান্তর করা হয়েছে। এখন জমির ডিজিটাল সার্ভের কাজ শেষ পর্যায়ে। জমিতে আমন ধান থাকায় জমির স’য়েল টে’স্ট সম্পন্ন হয়নি। ১মাসের মধ্যে ধান কা’টা হয়ে গেলে জমির স’য়েল টে’স্ট করা হবে। পরে ধাপে ধাপে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হবে।
জানা গেছে, প্রাথমকি পর্যায়ে এ প্রকল্প কাজের মধ্যে রয়েছে ভূমি অধিগ্র’হণ, বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, ৫শ সিটের করে ১টি ছাত্র ও ১টি ছাত্রী হোষ্টেল, প্রিন্সিপ্যাল ও ষ্টাফ কো’য়ার্টার, একাধিক ল্যা’বরেটরি, ক্লাস রুম ও অফিস কক্ষের চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র, হোষ্টেল ফার্নিচার, ডেকোরেশন, গাড়ী, মসজিদ, অভ্যন্তরীন রাস্তা ও সিমানা প্রাচীর ইত্যাদি। প্রথমাবস্থায় ৪টি বিভাগ নিয়ে কলেজটি চালু হবে। বিভাগগুলি হলো সিভিল, ম্যা’কানিক্যাল, ইলে’কট্রিক এন্ড ইলেক’ট্রনিকস ইঞ্জিয়ারিং এবং সফট্ওয়ার ইঞ্জিয়ারিং। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০২১-২২ অর্থ বছরের মধ্যে এ কলেজটি বাস্তবায়ন হবে।