অমা’নসিক নি’র্যা’তন করে এএসপি শিপনকে হ’ত্যা করা হয়, ১০ আসা’মীর ৭ দিনের রিমা’ন্ড

0
22
অমা'নসিক নি'র্যা'তন করে এএসপি শিপনকে হ'ত্যা করা হয়, ১০ আসা'মীর ৭ দিনের রিমা'ন্ড
অমা'নসিক নি'র্যা'তন করে এএসপি শিপনকে হ'ত্যা করা হয়, ১০ আসা'মীর ৭ দিনের রিমা'ন্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজধানীর আদাবর এলাকার মা”ইন্ড এ’ইড সাই’কিয়া’ট্রি এন্ড ডি-এডি’কশন হাসপা’তালে সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুল করিম ওরফে শিপন (৩৫) হ’ত্যার ঘ’টনায় হাসপা’তালের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ গ্রে’ফতারকৃ’ত ১০ জনকে ৭ দিনের রিমা’ন্ডে নেয়া হয়েছে। এরআগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আদাবর থানা পুলিশ তাদের গ্রে’ফতার করে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) শিপন হ’ত্যাকা’ন্ডের ঘ’টনায় গ্রেফ’তার হাওয়া হাসপা’তালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়সহ ১০ জনের ৭ দিনের রিমা’ন্ড ম’ঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হা’কিম আ’দালত। গ্রেফ’তারকৃত ১০ জনকে ঢাকা মহানগর হা’কিম আ’দালতে হা’জির করা হয়। মামলার সু’ষ্ঠু ত’দ’ন্তের জন্য তাদের বিরু’দ্ধে ১০ দিনের রিমা’ন্ডের আবেদন করেন মা’ম’লার ত’দ’ন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদ’র্শক মোহাম্মদ ফারুক মোল্লা। শু’না’নি শেষে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমা’ন্ড ম’ঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হা’কিম শহিদুল ইসলাম।

গ্রেফ’তারকৃত হলেন, হাসপাতা’লের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কি’চেন সে’ফ মো. মাসুদ, ওয়া’র্ডবয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মা’সিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়া’র্ডবয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ ও মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ।

রিমা’ন্ড আবেদনে বলা হয়, ‘আসা’মিরা সকলেই হাসপা’তালে বা’বুর্চি, ওয়া’র্ডবয়, মার্কেটিং অফিসার ও কো-অর্ডি’নেটর হিসেবে কর্মরত। মা’ম’লার এজা’হারভূক্ত আসা’মিরা অনুমো’দন ব্যতীত হাসপা’তালটি প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে প্র’তার’ণার মাধ্যমে চিকি’ৎসার নামে অবৈ’ধ অর্থ অ’র্জন করে আসছিল।’

এতে আরও বলা হয়, ‘এই মা’ম’লার ভি’কটিম মো আনিসুল করিমকে উন্নত চিকি’ৎসার আ’শায় মা’ম’লার বা’দি গত ৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপা”তালে নিয়ে আসেন। তখন মা’ন’সিক চিকি’ৎসা দিতে পারেন এমন কোনো ডাক্তার হাসপা’তালে কর্তব্যরত ছিলেন না। আসা’মিরা চিকি’ৎসা দেয়ার অ’জুহাতে ভিক’টিমকে ব’লপ্র’য়োগ করে হাসপা’তালের দোতলায় স্থাপিত একটি অব’জারভেশন ক’ক্ষে নিয়ে যায়। আসা’মিরা ভিক’টিম’কে মা’রতে মা’রতে অব’জারভেশন কক্ষে ঢো’কায়। তা ঘা’ড়, পি’ঠ ও মা’থাসহ শ’রীরে বিভিন্ন স্থানে উপ’র্যুপরি আঘা’ত করে রু’মের ওপর উপু’ড় করে ফে’লে দেয়। কয়েকজন ভিক’টিমের পি’ঠে চ’ড়ে বসে, কয়েকজন মা’থার ওপর আঘা’ত করে, বাকিরা দু’হা’ত পি’ঠমো’ড়া করে ওড়’না দিয়ে বাঁ’ধে।’
‘আসা’মিদের এমন অ’মা’নসিক নি’র্যা’তনে ভি’কটিম মো. আনিসুল করিমের মৃ’ত্যু হয়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

এএসপি শিপনকে মা’রধ’রের ভি’ডিও ফু’টেজ পর্যালোচনা করে ১০ জনকে গ্রে’ফতার করা হয়।
সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় মা’ন’সিক স’মস্যার কারণে হাসপাতা’লে আসেন এএসপি আনিসুল করিম। অ’সু’স্থতা নিয়ে হাসপাতা’লটিতে ভ’র্তির কিছুক্ষণ পরই মা’রা যান তিনি। হাসপাতা’লের অ্যাগ্রে’সিভ ম্যানেজমেন্ট রু’মে তাকে মা’রধরে’র ভি’ডিও ছ’ড়িয়ে প’ড়ে।

দীর্ঘক্ষণ অচে’তন থাকা অব’স্থায়ও তাকে ভ’র্তি কার্যক্রম করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর ১২টার দিকে তাকে হাসপা’তালের লোকজন জাতীয় হৃ’দরো’গ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকি’ৎসক জানান হাসপা’তালে নেয়ার আগেই শিপনের মৃ’ত্যু (ব্র’ট ডে’থ) হয় ।

এ ঘটনায় আদাবর থানায় হ’ত্যা একটি মা’ম’লা দা’য়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার আনিসুল করিম শিপনের বাবা বা’দি হয়ে ১৫ জনকে আসা’মি করে এ মা’ম’লা করেন। মা’ম’লা দা’য়ের পর পর আদাবর থানা পুলিশ হাসপা’তালের ভি’ডিও ফু’টেজে দেখতে পায়।

ডিসি তেজগাঁও বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য বৈ’ধ কোন কাগজপত্র ছিল না। তাদের কোনো বৈ’ধ কাগজপত্র নেই। এটা একটা ভুঁ’ইফো’ড় হাসপা’তাল। তারা অ’বৈ’ধভাবে মা’ন’সিক রো’গীর চিকি’ৎসার নামে বাণিজ্য করে আসছিল। হাসপা’তালের সঙ্গে জ’ড়িত সবাইকে আ’ইনের আ’ওতায় আনা হবে। হাসপাতা’লটিতে কয়েকজন রো’গী আছেন। তারা চলে গেলে হাসপাতা’লটি ব’ন্ধ করে করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, পুলিশ ক্যা’ডার সদস্য আনিসুল করিম বিসিএস ৩১ তম ব্যাচে ১ম স্থান অধিকার করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্র, এই কর্মকর্তা কর্মজীবনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যা’পিড এ্যা’কশন ব্যাটিলিয়ন, পুলিশ হেডকোয়া’র্টার্স ও সর্বশেষ বরিশাল মেট্রো’পলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।