নড়াইলের ৭ পরিবা’রকে একঘো*রে ক’রে রে’খেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান

0
148
নড়াইলের ৭ পরিবা'রকে একঘো*রে ক'রে রে'খেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান
নড়াইলের ৭ পরিবা'রকে একঘো*রে ক'রে রে'খেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার

সদরের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের নলদীর চ’র গ্রামের ১টি পরিবারকে একঘো*রে করে রেখেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। পরে ভূ*ক্তভো*গি এই পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখায় একই জ্ঞা*তি গো*ষ্ঠীর আরও ৬টি পরিবা*রকে একঘো*রে করা হয়েছে। একঘো*রে করার পর থেকে দরি*দ্র শ্র*মজী*বী এসব পরিবা*রের কাওকে স্থানীয়রা কোনো কাজে নেয়নি। এখনও এসব পরিবারের সাথে স্থানীয়রা তেমন কেউ কথা বলে না। স্থানীয় দোকানিরা কোনো মা*লামা*ল এমনকি ও*ষুধও বি*ক্রি করে না। ৭ মাইল দূরে আগদিয়া বা*জার ও হা*ট থেকে তাদের সব কিছু কিনতে হয়। এদের অ*পরা*ধ চেয়ারম্যানের প*ক্ষে না থাকা। গত আড়াই মাস ধ*রে চ*লছে এ অবস্থা। চেয়ারম্যানের আ*ক্রসের শি*কার একঘো*রে পরিবা*রের স*ন্তান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলামকে খুলনা মে*ডিকেল হাসপা*তাল থেকে উন্নত চিকি*ৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপা*তালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আশিকের পেছনে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। বর্তমানে তার চিকি*ৎসার জন্য বাড়ির ৪টি চা*রা আম গাছ বি*ক্রি করে মাত্র ৬ হাজার টাকা ঢাকায় পা*ঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় আগদিয়ার চর বাজারে সন্ধ্যার দিকে দা*ড়িয়ে থাকা অব*স্থায় আশিককে চে*য়ারম্যানের প*ক্ষের ৭-৮জন কু*পিয়ে গু*রুতর জ*খম করে। এ ঘ*টনায় সিঙ্গাশোলপুর ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল শেখসহ ১১জ*নের বিরু*দ্ধে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সদর থানায় মা*ম*লা হয়। এ মা*ম*লার ত*দ*ন্ত কর্মক*র্তা বিছালী পুলিশ ফাঁ*ড়ির এস.আই বালা মিয়া জানান, এ পর্যন্ত কোনো আসা*মিকে গ্রে*ফতার করা সম্ভ*ব হয়নি।

আশিকের বড়ো ভাই তরিকুল ইসলাম জানান, আশিক চেয়ারম্যান উজ্জলের বিরু*দ্ধে হ*ত্যা প্রচে*ষ্টার অভিযো*গ এনে গত ১ অক্টোবর নড়াইলের পুলিশ সুপার বরাবর একটি দরখা*স্ত করে। এ বিষয়টি চেয়ারম্যান উজ্জল জানার পর ২ অক্টোবর খলিশাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিকেলে একটি গ্রাম্য স*ভা ডেকে আমাদের পরিবারকে একঘো*রে করে। চেয়ারম্যান উজ্জল আশিককে বলেছিল তুই আমার সা*থে থা*ক তোর সব কিছু আমি দে*খব। চেয়ারম্যানের সাথে না থাকায় আজ তার এই অব*স্থা। চেয়ারম্যান আমার বন্ধু হলেও সে আমাকে বিভিন্ন সময় হ*ত্যার হু*মকি দিয়েছে। আমি তার ভ*য়ে *মা-বা*বাকে দে*খতে যে*তে পারিনা। আশিকের চিকি*ৎসার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খ*রচ হয়ে গেছে। এখনও অনেক টাকা দর*কার।

সরেজমিনে নলদীর চর গ্রামে গেলে আহ*ত আশিকের বা*বা ভ্যা*ন চা*লক ইকরাম শেখ ও *মা রাবেয়া বেগম জানান, এ পর্যন্ত ছে*লের চিকি*ৎসার জন্য ৫০ টাকা খর*চ হয়ে গেছে। আরও টাকা প্রয়োজন। গত দু’দিন আগে বাড়ির চা*রা ৪টি আম গাছ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে ঢাকায় ছে*লের কাছে বিকাশে পা*ঠানো হয়েছে। তারা বলেন, এখানে চেয়ারম্যানের কথাই শে*ষ কথা। এখানে চেয়ারম্যানের ভ*য়ে কেউ কোনো কথা বলে না। গত এক বছরের বেশী চেয়ারম্যাম্যানের লোকজন স্থানীয় আশরাফুল খা (২৫) ও কুদ্দুস বিশ্বা*সকে কু*পিয়ে জ*খম করলেও তার কোনো বি*চার হয়নি। খলিশাখালী গ্রামের মমতাজ বেগমের একটি হাঁস অনি*চ্ছাকৃতভা*বে মে*রে ফে*ললেও ঘেদু বিশ্বা*সের ৬০ হাজার টাকা জরিমা*না করে চেয়ারম্যান। ইকরাম শেখের চা*চাতো ভা-ই কবির শেখ (৬৫) বলেন, চেয়ারম্যানের বিপ*ক্ষে কিছু বল্লি দেশে থাকতি পারবনানে। কয়েকবার হু*মকি দিয়ে বলিছে বাড়াবাড়ি করলি দুই ভা*গ করে কা*ইটে ফে*লব।

স্থানীয় রেঞ্জার শেখের *স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, আশিকদের পরিবারের সাথে স*ম্পর্ক রেখে চ*লায় তার পরিবারকেও একঘো*রে করা হয়েছে। নলদীর চর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কিছু ছে*লেরা এসে বলে গেছে আসিকদের কাছে মা*লামা*ল বি*ক্রি না করতে। আমরা সমা*জ নিয়ে চলি। সমা*জের কথা না মা*নলে নানা ঝা*মেলা হয়। তবে গো*পনে বা কেউ না থা*কলে সামান্য কিছু বিক্রি করেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন সে*চ্ছাসেবক লীগের সভাপতি উজ্জল শেখ বলেন, আশিককে নিজ গ্রু*পে নেওয়া, কাওকে মা*রা বা হ*ত্যার হুমকি দেওয়ার কথা অস্বী*কার করে বলেন, তার উ*চ্ছৃংখ*লতার কারনে তার পরিবা*রকে স*মাজচ্যু*ত করা হয়েছে। সরকারি নি*য়মে আছে কিছু কিছু অ*পরাধ করলে সে পরিবারকে সমা*জচ্যু*ত করা যায়। তবে তাদের সাথে কেউ কথা বলবে কি বল*বে না সেটা তাদের বিষয়। তিনি আরও বলেন, আমার এলাকায় গ্রামবাসী আমার সা*লিশ বি*চার মানে। আমি যা বলি গ্রামবা*সি তাই শোনে।

এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, চেয়ারম্যানের বিরু*দ্ধে আমরা আ*ইনগত বিষয়টি দেখছি। তবে একঘো*রে করার বিষয়টি জেলা প্রশাসক ম*হোদয়ের সাথে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, এ ধরনের একঘো*রে করার বা কাওকে স*মাজচ্যু*ত করার কোনো অধি*কার কোনো ব্যক্তির নেই। আমি বিষয়টি খোঁ*জ-খবর নিচ্ছি।