স্টাফ রিপোর্টার
রোববার (১০ জানুয়ারী) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভায় আ’লীগের দু’বিদ্রোহী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় তাদের দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভায় আ’লীগের এক জন বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন এবং দু’টি পৌরসভায় দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করছেন ৪জন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনজুমান আরা, বিএনপি মনোনীত জুলফিকার আলী এবং আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাওঃ খায়রুজ্জমান।
কালিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে ৩জন নির্বাচন করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জমান হীরা, বিএনপি মনোনীত ওয়াহিদুজ্জমান মিলু এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে বর্তমান মেয়র, কালিয়া সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, দলীয়ভাবে পূর্বে মিটিং করে আমি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিদ্রোহীদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় মানোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। দু’জন মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় তাদের দল থেকে বহিস্কার করা হলো। কোনো মিটিং করে এ বহিস্কার করা হয়েছে কিনা এ প্রশ্নে বলেন, মিটিং করার কোনো প্রয়োজন নেই।
নড়াইল পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ ও সাধারণ পদে ৩৯জন এবং কালিয়া পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯জন এবং সাধারণ পদে ৩২জন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। প্রত্যাহারের শেষ দিনে দু’টি পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯জন প্রত্যাহার করেছেন।
সোমবার (১১জানুয়ারী) প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং আগামী ৩০ জানুয়ারী নড়াইল পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, আগামি ৩ জানুয়ারী মনোনয়নপত্র বাছাই, ১০ জানুয়ারী প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ১১ জানুয়ারী প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ জানুয়ারী এ’দুটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।