নড়াইলে ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ পাঠাগার আয়োজিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত

0
11
নড়াইলে ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ পাঠাগার আয়োজিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত
নড়াইলে ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ পাঠাগার আয়োজিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা সদরে অবস্থিত ‘ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ পাঠাগার ’ আয়োজিত ‘কবি আতিয়ার রহমানের কবিতা পাঠের আসর’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কবিতা পাঠের আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নড়াইল প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন লোহাগড়া সরকারি আদর্শ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ আব্দুল কাহহার।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ তার বক্তব্যে বলেন, আতিয়ার রহমান ও আমি বয়সের দিক দিয়ে হয়তো ১ বা ২ বছরের ব্যাবধান। তিনি ১৯৭৩ সালে ছাত্রজীবন থেকে সাহিত্যাঙ্গনে জড়িত হন। আমরা উভয়ে নড়াইল থেকে প্রথম ১৯৭৪ সালে রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত সাহিত্য মাসিক প্রান্তিক পত্রিকায় ১৯৭৫ থেকে লেখালেখি শুরু করি। তিনি ১৯৭৫ সাল থেকেই যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকায় তৎকালিন নড়াইল মহকুমা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তিতে আমি ১৯৭৯ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু করি। এক হিসাবে আতিয়ার রহমান আমার সাহিত্য ও সাংবাদিকতার গুরু। আমি কোন নিউজ এবং কোন কবিতা, প্রবন্ধ বা নিবন্ধ লেখার পর তাঁকে দিয়ে সম্পাদনা করাতাম। ভাষাগত ভুল ত্রুটি তিনি সংশোধন করে দিতেন। তাঁর ভাষাগত জ্ঞান অত্যন্ত প্রখর। আতিয়ার রহমান আসলেই একজন গুনি ব্যক্তি।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, আতিয়ার রহমানের যে প্রতিভা তাতে করে তিনি যদি ঢাকায় অবস্থান করতেন, তাহলে প্রথম সারির না হলেও তিনি দ্বিতীয় সারির কবি বা সাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করতে পারতেন।

প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের আয়োজক ড. ওয়াহিদ মোহাম্মদের ভ’য়সি প্রশংসা করে বলেন, তিনি একজন ভৌগলিক পরিবেশের ওপর পিএইচডি করা ব্যাক্তি। ইচ্ছা করলে তিনি বিদেশে গিয়ে তার শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সে পথে যাননি। বরং লোগড়ায় ফিরে এসে সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করে নিজ খরচে ২০০৪ সাল তেকে ত্রৈমাসিক ‘পলপত্র’, ‘কালপত্র’, ‘শিশু পত্র’ এবং ‘মহাপত্র’ নামিয় ৪টি কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও বিবিধ বিষয়ক সাময়িকি নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছেন। সাহিত্যের প্রতি তাঁর এই অনুরাগ দেখে আমি সত্যিই অভিভ’ত। তাঁর এই কর্মযজ্ঞের জন্য আমি তাঁকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদসহ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আতিথি প্রভাষক মোঃ আব্দুল কাহহার কবি ও সাংবাদিক আতিয়ার রহমানের লেখনির ওপর সারগর্ভ বক্তব্য রাখেন। তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজক ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ ও আতিয়ার রহমানের লেখা, সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ, নিয়মিত কবিতা পাঠের আসরের আয়োজনের বিষয়ে উভয়কে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০ জনের মত শিক্ষক, নবিণ ও প্রবীণ লেখক ও সাহিত্যানুরাগি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে আতিয়ার রহমান রচিত ১২টি কবিতা সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। কবি আতিয়ার রহমান তার লেখা কবিতা আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। আতিয়ার রহমান রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ, প্রভাষক মোঃ আব্দুল কাহহার, আমিনুল ইসলাম, অভিষেক চক্রবর্তি, রাজিবুল ইসলাম, মাহবুবার রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ, ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ নিজ বাসভবনে ‘ ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেখানে তিন হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের বই আছে। এ পাঠাগারটি সপ্তাহের ৭ দিনই সকাল থেকে রাত অবধি খোলা থাকে। ডক্টর ওয়াহিদ মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ড এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে।