নড়াইলের লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

7
59
নড়াইলের লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়ার পাঁচুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২৪ জানুয়ারী সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১০ পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে মোঃ ফারুক হোসেন কে ১ম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু কোন অবস্থাতেই মোঃ ফারুক হোসেন ১ম হতে পারেন না বলে অন্যান্য প্রার্থীরা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে নিয়োগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ২৫ জানুয়ারী জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি জানান, পাঁচুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য গত ২৪ জানুয়ারী নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় মোঃ ফারুক হোসেনকে ১ম স্থান দেখিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদানের ঘোষনা করা হয়। মোঃ ফারুক হোসেন পাঁচুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে এলাকাবাসী অবগত আছেন। তার পক্ষে কোন অবস্থাতেই আবুল কালাম আজাদ অথবা অন্যান্য আবেদনকারী সনাতন রায়, তহমিনা খোন্দকারের চেয়ে বেশী নম্বর পেয়ে ১ম হওয়া সম্ভব নয় বলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

এ নিয়োগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান ও সভাপতি পাচুড়িয়া গ্রামের মুন্সী নজরুল ইসলামে (সাবেক আইজিআর) যোগ সাজসে সীমাহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ কারীরা জানান। তারা আরো জানান, বেশী নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের পরীক্ষার খাতার নম্বর কেটে কমিয়ে মোঃ ফারুক হোসেন এর নম্বর বাড়ানো হয়েছে বলে তাদের ধারনা। এ কারনে তারা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার মাধ্যমে খাতা পূনরায় মূল্যায়নের এবং দুর্নীতির মাধ্যমে এ নিয়োগ বন্ধ করে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবী জানান।

এছাড়া ওই বিদ্যালয়ে মহিলা কোটা পূরণ করা নাই। প্রার্থী তহমিনা খোন্দকার দাবী করেন যে মোঃ ফারুক হোসেন এর চেয়ে তিনি বেশী নম্বর পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাবেন এবং তাতে মহিলা কোটা ও পূরণ হবে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান ও সভাপতি মুন্সী নজরুল ইসলামে (সাবেক আইজিআর) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। এ নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য অখুশী, তবে তারা আপাততঃ কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।