স্টাফ রিপোর্টার
এবারও লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী। একইসাথে ভাষা দিবসের ৭০ তম বার্ষিকীতে ৭০টি ফানুষ ওড়ানো হয়। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শহরের কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি একসাথে জ্বলে ওঠে। ভাষা শহীদদের স্মরণে এবারের লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামে উৎসর্গ করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এর পূর্বে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর মুন্সি মোঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র আনজুমান আরা, একুশের আলোর সহ সভাপতি আ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার।
একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর মুন্সি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই মঙ্গল প্রদীপের আলো পৃথিবীর সমস্ত ভাষা ও সংস্কৃতিকে আলোকিত করবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোথাও এ ধরনের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান হয় না। তাই অনুষ্ঠানটির মূল্যায়ন করে এটি ওয়ার্ল্ড গিনেস বুকে নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানান।
৬ একরের বিশাল কুররডোব মাঠে শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্জলনে কয়েক হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যায় লাখো মোমবাতি জ্বেলে ওাার সাথে সাথে ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়। নান্দনিক এ অনুষ্ঠানটি জেলা ও জেলার বাইরের কয়েক হাজার দর্শক উপভোগ করেন। মাছরাঙ্গা টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী নড়াইলে ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১মাস পূর্ব থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করে। তিন শতাধিক পুলিশ ও সেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করেন। স্কয়ার এ অনুষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা করেছে।