নড়াইলে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ-হামলায় ১ জনের মৃত্যু!

4
44
নড়াইলে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ-হামলায় ১ জনের মৃত্যু!
নড়াইলে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ-হামলায় ১ জনের মৃত্যু!

স্টাফ রিপোর্টার

জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, পাটেশ্বরি জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা আল আমিন শেখ (৩২), শেখ তৌহিদুল ইসলাম (৪৫) ও হাচান মোল্যা (২২)। গুরুতর আহত মাওলানা আল আমিন শেখ ও হাচান মোল্যাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শেখ তৌহিদুল ইসলামকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এরমধ্যে অবস্থার ক্রমাবনতি হওয়ায় মাওলানা আল আমিন শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইমাম মুফতি মাওলানা আল আমিন শেখ (৩২) মারা গেছেন। ঘটনা উল্লেখে কালিয়া থানায় ২৩ জনসহ অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামী করে একটি মামলা (মামলা নং-৪) দায়ের হয়েছে। কালিয়া থানার পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৩ জনকে আটক করেছে।

আহতদের পরিবার এবং কালিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে মহিষখোলা গ্রামের রেজাউল বিশ্বাস ও প্রতিবেশি মাহাবুর রহমান কালুর সীমানা নির্দ্ধারণের জন্য পরিমাপের সময় রেজাউল বিশ্বাসের চাচাতো শ্যালক তৌহিদুল শেখের সাথে মাহাবুর রহমান কালুর উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়।

এ ঘটনার জের ধরে ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে পাঁচগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক ও মাহাবুর রহমান কালুর লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ তৌহিদুল শেখের ওপর হামলা চালায়। এতে তৌহিদুল শেখ মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন। এসময় আক্রমনকারিদের ঠেকাতে গেলে পার্শ্ববর্তী পাটেশ্বরি গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম মহিষখোলা গ্রামের মুফতি মাওলানা আল আমিন শেখ ও হাসান মোল্যাকেও ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

ঘটনার পর গুরুতর আহত মুফতি মাওলানা আল আমিন শেখ এবং হাসান ম্যোাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মাওলানা আল আমিন শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। হামলায় আহত তৌহিদুল শেখ নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়া ৩জনকে আটক করারর কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।