নড়াইলে নিজের জমির গাছ কা/টতে বাঁ/ধা, থানায় জিডি!

0
60
নড়াইলে অগ্নিকান্ডে

এসকে সুজয়

নড়াইলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়গ্রামের বাসিন্দা অজিত মিত্রের নিজের জমির গাছ কা/টতে কাকা অখিল মিত্র বাঁধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ বিক্রিতে বাঁধা প্রদানের বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়ে লোহাগড়ায় থানায় জিডি দায়ের করেছেন অজিত মিত্র।

জিডির কপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়গ্রামের বাসিন্দা অজিত মিত্রের কাকা হচ্ছেন অখিল মিত্র। অজিত মিত্রের পরিবারের সদস্যরা ব্যবসায়িক ও চাকুরি সূত্রে নড়াইল শহরে বসবাস করেন। অজিতের কাকা অখিল মিত্র চাকুরিসূত্রে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে বসবাসের পর ২০১৮ সাল থেকে রায়গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন। অখিল মিত্র তার ভাগের অংশের গাছ বিক্রি করলেও অজিতদের ভাগের অংশের গাছ বিক্রিতে অন্যায়ভাবে বাঁধা প্রদান করছেন। অজিত তাদের ভোগদখলকৃত জমির গাছ বিক্রি করতে গেলে কাকা অখিল মিত্র,কাকি স্মৃতি রাণী মিত্র,কাকাতো বোন স্বপ্না রাণী মিত্র অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ মামলার হুমকি দিয়ে গাছ বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করেন। তাদের বাঁধার মুখে নিরুপায় হয়ে অজিত গাছ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

অজিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, তার কাকা চাকুরি শেষে বাড়ি ফিরে এসে গ্রাম্য দলাদলিতে লিপ্ত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিতে উস্কানি দিয়ে চলেছেন। নিজের ছেলে সন্তানসহ আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে তার দূর্ব্যবহার নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার। কাকা অখিল মিত্র ও কাকি স্মৃতি রাণী মিত্র’র কারণে পরিবারের সদস্যদের মাঝে চলছে চরম অশান্তি। তাদের স্বার্থ চরিতার্থের অপচেষ্টার কারণে যেকোন সময় দূর্ঘটনার সৃষ্টির আশংকা প্রকাশ করেছেন অজিত মিত্র। গাছ বিক্রিতে বাঁধাদানের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকা থেকে কিছু লোক বলেন,অখিল কুমার মিত্র একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় গ্রামের কাউকে গ্রাহ্য করেন না তিনি।

এ ব্যাপারে অখিল মিত্র’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অজিতের পাওনা জমি ভাগ করে দেয়া হয়েছে। বাড়ির পুরো জমি মামলা মোকদ্দমার পর আমার টাকা দিয়ে কেনা হলে তাদের আমি ন্যায্যমত ভাগ করে দিয়েছি আমি। তার জমি ও গাছ সীমানা পিলার দিয়ে ঘিরে রেখেছে। তার জমির গাছ বিক্রিতে আমি কখনো বাঁধা প্রদান করিনি।