শামীমূল ইসলাম
করোনায় আক্রান্ত তীব্র শ্বা/সক/ষ্টের রো/গীদের নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন প্রায় ১বছর ধরে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত রো/গী যারা তীব্র শ্বা/সক/ষ্টে ভোগেন তখন তারা অক্সিজেন সেবার জন্য হাহাকার করে থাকেন। নড়াইলের হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতেও তাদের এই সেবাটুকু পেতে হিমসিম খেতে হয়, এমন রো/গীদের পাশে এসে দাড়িয়েছে এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার হাতে গড়া নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন। এক বছর জেলার যে কোনো প্রান্তের রোগি বা তাদের আত্মীয়-স্বজন ফাউন্ডেশনের সাথে মোবাইলে বা সরাসরি যোগাযোগ করলেই এ সেবা পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন। ইতিপূর্বে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া, জেলায় করোনা নমুনা সংগ্রহের জন্য আর্থিকসহায়তা প্রদান এবং কয়েক হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের মার্চ মাস থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাপ্রাদুর্ভাব শুরু হলে এপ্রিল মাস থেকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনাকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চালু করা হয়। এর পর ১০ জুলাই থেকে করোনায় স্বাসকষ্টের রোগীদের ফ্রি অক্সিমিটারসহ অক্সিজেন ও নেবুলাইজার সেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এ কাজে দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েও কার্যক্রমকে গতিশীল করেন। বর্তমানে ২৬টি অক্সিজেন সিল্ডিারের মাধ্যমে থেকে ফাউন্ডেশনের কর্মী হায়দার আপন, নাজমুস সাকিবসহ কয়েকজন রাত নেই দিন নেই এ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিরলসভাবে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এ সেবা পৌছে দিচ্ছেন। তবে অনেকেই ফাউন্ডেশনের অফিস নড়াইল এক্সপ্রেস হেল্থ কেয়ার সেন্টার ও শরীফ আব্দুল হাকিম ডায়াবেটিক হাসপাতালে অবস্থিত অফিসে গিয়েই অক্সিজেন নিয়ে যান। গত ১মাস ধরে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়জুল হক রোমের নেতৃত্বে এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের নতুন একটি টিম অক্সিজেন সেবা প্রদানের কাজ শুরু করেছেন।
ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য কর্মী হায়দার আপন ও নাজমুস সাকিব জানান, আমাদের সাথে রোগির পক্ষের মানুষ যোগাযোগ করলেই তাৎক্ষনিকভাবে রোগিদের বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন পৌছে দিয়েছি। আবার অনেকে অফিস থেকেও অক্সিজেন নিয়ে গিয়েছেন। এই সেবা দিতে গিয়ে কখনও করোনায় আক্রান্তের ভয় করিনি। এ পর্যন্ত ৩৯৮জন স্বাসকষ্টের রোগীকে এ অক্সিজেন সেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম অনিক বলেন, করোনাপ্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই ফাউন্ডেশন বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে রয়েছে। যখন মানুষ হাসপাতাল-ক্লিনিকে গিয়ে ঠিকমতো অক্সিজেন সেবা পাননি তখন এসব মানুষের কথা ভেবে এই মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যতদিন অক্সিজেন সেবার প্রয়োজন থাকবে ততদিন ফাউন্ডেশন এই মানবিক কাজ চালিয়ে যাবে বলে। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডারের যোগান বৃদ্ধি করা হবে।