নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম্য মাতবরের ওপর হাম/লার ঘটনায় মা/মলা দা/য়ের

207
17

স্টাফ রিপোর্টার

এলাকায় আ/ধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামে মাহাবুর মোল্যা (৪৮) নামে এক মাতুব্বরের ওপর হা/মলার ঘটনায় মামলা হয়েছে । রবিবার (২৩মে) লোহাগড়ায় থানায় মা/মলাটি দায়ের করেন আহত মাহাবুবের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মা/মলায় প্রতিপক্ষের মাতবর ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের তাইজুল ইসলামসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

জানাগেছে, এলাকায় আ/ধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২১ মে (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের হারেজ মোল্যার ছেলে মাহাবুব মোল্যা স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ি যাবার সময় প্রতিপ/ক্ষের ১০/১২জন লোক মাহাবুব রহমানের ওপর হা/মলা করে। এসময় প্রতিপ/ক্ষের লোকজন ধারা/লো অস্ত্র দিয়ে মাহাবুরের বাম পায়ে কু/পিয়ে গু/রুতর জখ/ম করে। এছাড়াও তার শরীরে ২/৩টি কোপ দিয়ে গু/রুতর জখ/ম করে।

স্থানীয় লোকজন মাহাবুবকে উ/দ্ধার করে প্রথম নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পায়ের জ/খম গু/রুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকা প/ঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা তার বাম পা টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

বিভিন্নসূত্রে জানাগেছে, নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা, চর-ব্রাহ্মণডাঙ্গা, বাড়ীভাঙ্গা ও হান্দলা গ্রাম নিয়ে দুটি সামাজিক দল রয়েছে। একটি দলের নেতৃত্ব দেন নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম ও সাবেক চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান নূরনবী। চারগ্রামে এই পক্ষের নেতৃত্ব দেন নাজির মোল্যা ও মাহাবুব মোল্যা।

এছাড়া অপরগ্রুপের নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম কালু। চারগ্রামে এই গ্রুপের নেতৃত্বে দেন তাইজুল ইসলাম ও জাকির মেম্বর।

অভিযুক্ত তাইজুল মোল্যা মুঠোফোনে বলেন, ‘গত ২০মে প্রতিপ/ক্ষ মাহাবুর মাতুব্বর আমাকে হ/ত্যার পরিকল্পনা করে। আমাকে হ/ত্যার জন্য ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজার, বাড়িভঙ্গা ও রায়গ্রাম লোক সেট করে রাখে। আমি খবর পেয়ে বিকল্প সড়ক দিয়ে বাড়িতে যাই। বিষয়টি আমাদের লোকজন জানতে পেরে ক্ষো/ভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজারে দুপক্ষের মধ্যে মা/রামা/রি হয়। এতে দুপক্ষের লোকজনই আহত হন।’

অপরপক্ষের মাতুব্বর নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান নূরনবী মুঠোফোনে বলেন, ‘ ব্রাহ্মণডাঙ্গার তাইজেল, শিপন, এনামুল সহ ১০/১২জন মাহাবুরকে হ/ত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। বর্তমানে মাহাবুব ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পায়ের অবস্থা ভাল না।’

এদিকে হামলার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই ভয়ে বাড়ির মুল্যবান আসবাবপত্র, গরু ছাগল সহ মুল্যবান জিনিসপত্র আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে একটি পক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছে।

লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন,‘ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাহাবুবের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। কয়েকদিন ধরে পুলিশের উপস্থিতিতে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারেনি। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে। আহত মাহাবুবের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ২৩ মে বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দিয়েছেন (মামলা নং-১৯)। আসামীরা সবাই পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের জোর অভিযান চলমান রয়েছে।’।