শামীমূল ইসলাম
দুই বছর অতিক্রম হলেও নড়াইলের তুলারামপুরে রাস্তা প্রশস্তকরণে ক্ষতিগ্রস্থ ১২০ ক্ষুদ্র দোকান মালিক ক্ষতিপূরণ পায়নি। নতুন করে আরও ১০টি দোকান সরানোর জন্য জায়গা মেপে নিয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকারি জায়গার ওপর একসোনা বন্দোবস্থ নিয়ে গড়ে তোলা এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পেলেও না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা শনিবার (২৯মে) দুপুরে মানববন্ধন করেছেন। তুলারামপুর বাজার বণিক সমিতির আয়োজনে নড়াইল-যশোর মহাসড়কের তুলারামপুর বাজারে সামনে এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, তুলারামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, তুলারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অঙ্গদ কুমার বিশ্বাস, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খুরশীদ আলম প্রমূখ।
নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নড়াইল-ভাটিয়াপাড়া-কালনা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর (এন-৮০৬) জাতীয় মহাসড়কের ৩২তম কিঃমিঃ “ক্রস বর্ডার নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তুলারামপুরের কাজলা নদীর উপরে ২০১৯ সালে সেতু প্রসস্তকরণের জন্য নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ সময় তুলারামপুর বাজারে জেলা প্রশাসকরে কার্যালয় থেকে একসোনা বন্দোবস্ত নেওয়া ১২০টি আধাপাকা দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ব্রীজ হবার পূর্বে আমরা (ব্যবসায়ী) জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং সড়ক ও জনপথ অফিসে গিয়েছিলাম। তখন আমাদেও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। গত ১ বছর পূর্বে ক্রসবর্ডার রোড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ও ওসিজি (ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল কনসালটেন্ট) এবং ‘সমাচার’ নামে একটি বেসরকারী পরামর্শ কেন্দ্রের প্রজেক্ট ম্যানেজার পরিচয়ে আব্দুল আলিম আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদেও বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে নামের তালিকা প্রস্তুত করে। সকল দোকানদারদের সোনালী ব্যাংকে আলাদা আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলায়। কিন্তু কোনো ক্ষতিপূরণ পাইনি।
অপর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নেসপার মোল্যা বলেন, আমার তুলারাপুর বাজারে ৪টি ঘর রয়েছে। আলিম নামে এক কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দেবার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। শুনেছি প্রায় সবাই একই আশায় আলিমকে কম-বেশী অনেক টাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বেসরকারী পরামশর্ক কেন্দ্র ‘সমাচার’-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল আলিমকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পওে তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৗশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, ক্রসবর্ডার রোড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় অবকাঠামো ক্ষতিপূরণের টাকা ধরা আছে কিনা তা জানিনা। প্রকল্পের কর্মকর্তাদেও সাথে কথা বলে জানাতে পারব।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দোকান মালিকরা কেন ক্ষতিপুরণ পাচ্ছেন না সে ব্যাপারে ব্যাবসায়ি প্রতিনিধিরা আমার কাছে আসলে বিস্তারিত জেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।