স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কলেজপাড়া ওবায়দুল হক সবুজ (সাবেক সেনা কর্মকর্তা) বাড়ির মালিক না হয়েও বড় ভাই-বোনের নির্মাণাধীন একটি ৪তলা ভবন জোর করে দখ/লে নিয়ে ভাড়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভবন মালিক এ্যাডঃ কামরুজ্জান কচি গত ৩০ জুন এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি জিডি করেছেন। এনিয়ে ওই পরিবারে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জিডি সূত্রে জানা গেছে-লোহাগড়া কলেজ পাড়ার মৃ/তঃ ডাঃ জহুরুল হকের ছেলে এ্যাডঃ কামরুজ্জান কচি ও তার ভাই জাকির হোসেন লোহাগড়া কালনা সড়কের পাশে তাদের নিজস্ব জমির উপর পাশাপাশি দু‘টি ৪তলা ভবন নির্মাণ করছেন। বাড়ি দু‘টির নির্মাণ কাজ এখনও পুরোপুরি সম্পন্ন না হলেও ব্যবহার উপযোগি হয়েছে। বাড়ির মূল মালিক এ্যাডঃ কচি এখনও বাড়িতে কাউকে ভাড়া দিতে ঘোষণা না দিলেও, বাড়ির কোন মালিক না হয়েও ছোট ভাই ওবায়দুল হক সবুজ উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের আরিফুজ্জামান আরিফ নামে এক ব্যক্তিকে মাসিক ৫ হাজার টাকা হিসাবে ৮০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে দুই বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছে। এ্যাডঃ কচি জানান ৩০ জুন তারিখে ওবায়দুল হক কয়েকজন গু/ন্ডা নিয়ে ওই বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকদের ভ/য়-ভী/তি দেখিয়ে কাজ করতে নিষেধ করে তাদের বের করে দেন। তার আশঙ্কা সবুজ যেকোন সময়ে গু/ন্ডা নিয়ে জো/র পূর্বক বাড়ি দু‘টি পুরোপুরি দখল করে নিতে পারে।
এ্যাডঃ কামরুজ্জামান কচি জানিয়েছেন, জাকির হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে জাপানের রাজধানী টোকিত্ততে একটি বহুজাতিক কোম্পানীতে চাকরিরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সেখানে গাড়ীর ব্যবসা শুরু করেন । ২০০৮ সালে ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান সবুজ চাকুরিচ্যুত হয়ে বড়ভাই জাকির হোসেনের নিকট ত্রিশ লাখ টাকা চায়। জাকির হোসেন সরল বিশ্বাসে ছোট ভাইকে ওই টাকা দেন। পরে তাকে ব্যবসা করার জন্য প্রথমে ২৭ লক্ষ টাকার মূল্যের একখানি গাড়ী দেন। পরে পর্যায় ক্রমে আরো ৮৭ লক্ষ টাকার গাড়ী দেন। ২০০৯ সালে ব্যাংক থেকে এল.সি লিমিট বাড়ানোর জন্য জাকির হোসেন তার ঢাকার সেনপাড়া পার্বাতা মৌজার ৬শতক জমি এবং লোহাগড়া মৌজার ৯০ শতক জমি বন্ধক দিয়ে সোশাল ইসলামী ব্যাংকে নিজে গ্যারান্টর হয়ে ১২ কোটি টাকা লোন নিয়ে দেন।
ওবায়দুর রহমান অদ্যাবদি ব্যাংকের ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় ওই ঋণের দায় এখন বড়ভাই জাকির হোসেনের কাঁধে এসে পড়েছে। এনিয়ে কিছুদিন যাবৎ ভাইদের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। ইতিপূর্বে জাকির হোসেনও তার জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সবুজের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওবায়দুল হক সবুজের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ চেষ্টা করে তাকে পাওয়া য়ায়নি